কাঁচাকাটা ক্রিয়া
বল্লাম, সেক্স নাই—হ্যাঁ
তখন আলোকপতন ঘরে
দেশে অনবহিত অদ্ভুত রোগ
নিকটে এলো না উলুবন
একলা বাবুই—চাঁদটাও
. কাঁচা আম টক লাগে
. শিমুল কাঁটার গোড়া মোটা
হাসপাতাল হলো একটা ক্রিয়াপদ
. সানাইয়ের স্বরগ্রাম উঁচু
. চারাগাছের কাণ্ড নরম
নদী ও বন উৎসে থাকে না
বল্লাম, সেক্স নাই—হ্যাঁ
শ্রুতলিপি-২
এইমাত্র কিছু শব সৎকার শেষে ঘরে ফেরা হলো
আমরা ফ্লাইওভার সড়কে পেশিবহুল ক্রুরতা
এবং বাজে দৃশ্যের মেলা আর দেখবো না
এখন স্বপ্ন ও নিজস্ব সংবাদ প্রতিবেদনে
এক-দুই-তিন মিলে স্নানাগার বানাবো
আমাদের বুটিদারদের শাশ্বত ছাপগুলো
অগ্নিজলের উত্তাপ থেকে অভিশাপমুক্ত করে দেবো
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো আর নয়
জলের ত্বক ছুঁয়ে মাছেদের মতো
দ্রুত চলে যাবো প্রাণ-পুরুষের দেশে
তারপর—
স্নান শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
পরিপাটি করে নেবো চুলের গোছগাছও
কাকদর্শন
মেলা দর্শনটাই কাকেদের
যা এক সূত্রহীন গহ্বর
কাক কাকের মাংস খায়
কোনো মনোবিদ্যা ছাড়াই
আমরা হাততালি দিই—
বলি, ইহাই করোটির পরিণতি
অসীমের আফসোস,
উঠোনজুড়ে সাপের পাঁচ-পা ঘুরে
বস্তুর গরিমা
কয়েকটা ইট-কাঠ বস্তু সহযোগে
গাণিতিকভাবে প্রথমে স্থির থাকে
অতঃপর তার ভেতরের সংশ্লেষ
পূর্বতন আবহকে ভাঙতে থাকে
বলা যায়, ইহাই বস্তুর ভাবদর্শন
বস্তুর গরিমা ভাব-গম্ভীর: বন্ধুরও
বস্তু আসলে ভাবকে উগলে দেয় না
দৃশ্যত বলা যায়, ইহা সন্ত-প্ৰত্নপথ
সে আসলে কৌণিকরূপে রশ্মি ছড়ায়
থাকে কেন্দ্রবিন্দু হতে পরিধি বরাবর
দেখা গেলো ওড়ছে সিগারেটের ধোঁয়া
এই-ন্যায় ইহাই বস্তুর সবিশেষ গরিমা
প্রাণ-পানপাত্র উজ্জীবনগাথা
হৃদয়ের সুর-ধারা-গান শোনাবো তোমাকে
আগে ঊষর মরুতে আরেকটু গুঁজে থাকি
কোথায় গড়িয়ে পড়ো নোনা-ফোঁটা জল
তোমার জলস্থিরতায় আমি ঝড়লেখা পড়ি
ভেতরে বিস্ময়ের ধূপছায়া ঘূর্ণিবেগে ওড়ে
আর তো শিখে নিই স্থির তর্জনীর বলবিদ্যা
কে-যে সাজিয়ে যায় স্নায়ুকোষ ধী-গুলি
কে-যে হাল ধরে— বারে বারে তারে খুঁজি
বইতে পারি না কোনো সুবাসের ভার
তাই বিন্দু বিন্দু জীবন-সকাশে থাকি
দৃষ্টি তুমি ভয়ে ভয়ে থেকো না কেননা
ধৈর্যের স্থিতধি জানতে চাইবে যে কেহ
আমার বন্দনায় আছে এক চিত্তবিক্ষেপিত রায়
তেজি জেদ-ইশারা—যার মিথে লুকায় খোদা