তারপরে কী কাণ্ড হলো?
সবাই অতি উৎসাহে
তাকিয়ে আছে আমার দিকে৷
আমি বললাম, ‘দুধ-চায়ে
আপত্তি খুব নেই, তবে কি
খান দুই-তিন বিসকুটে
মন ভরে না আমার, বাপু
আমি কি কম হিংসুটে!’
গুবরে আমার বন্ধু, বোকা,
চালাক ভারি ঘুরঘুরে,
দেখা হতেই বলল, ‘আমি
আসতেছি মীরপুর ঘুরে।’
আসুক গে, যাক, তারপরে কী?
গিরগিটি-কে ‘গিটকিরি’
যেই বলেছি… অমনি কেঁচো
বলল আমায় ‘ফিটকিরি’৷
ব্রহ্মদেশে খুব লিখেছ!
যাও গে এখন সিংহলে,
সিন্ধি ভাষা শিখবে, মাথায়
একটি দু’টি শিং হলে৷’
তারপরে কী? কী-এর পরে
কেন যে সেই আরশোলা!
ঘ্যানোর ঘ্যানোর লেগেই আছে :
‘কও না তুমি, কার পোলা?’
কী মুশকিল! খুশকি মাথায়
তার উপরে শিং দু’টি…
চুলকে মরি, উফ, কী জ্বালা!
লুটোয় কাছা, চিন-ধুতি…
কাণ্ড দেখে পিঁপড়ে হাসে৷
ছারপোকা কয়, ‘থাম দিকি,
রাতদুপুরে চিল-চিৎকার
শুনতে পেলে চামচিকি
লিখিয়ে নেবে পদ্য ক’খান,
এটা কি আর চান খুড়া?
অমনি তিনি শিঙেই পাগল
তার উপরে তানপুরা!
বললে হবে? খরচা আছে৷
ভূতের রাজ্যে বাস করা
চাট্টিখানি ব্যাপার নাকি!
এখানে ভাই রাশ কড়া৷
রসকরা চান, শীঘ্র পাবেন৷
শুঁটকি কিন্তু ঢের দেরি,
তাই বলে ভাই বিরক্তিতে
তাল মেলালে ‘ধেরতেরি’!
তৈরি থাকুন বৈরীপনায়,
খয়েরি রঙের ক্যানভাসে—
আঁকতে হবে বাজবৈরি,
মাঝগগনে ক্যান ভাসে?
ক্যানেস্তারা পিটিয়ে তবেই
সাঙ্গ করে আঁকখানি,
জানতে হবে কিসের জন্য
সোঁদরবনের বাঘ, কানী!
কেন অথই সাগরজলে
হাঙর রাজা, সব নোনা?’
ঘুম ভাঙতেই ডাগর চোখে
ভাবছি, একি স্বপ্ন না!