ধোঁয়া
তুমি এক আশ্চর্য গান।
সমস্ত রাগ ঘাসে মিশে আছে
নরম নিবিড় স্তন রূপকথার মতো
সহজ অনুপ্রাসে মগ্ন—
আমি কি ভোর হবো—তুমি মেলবে চোখ
অদৃষ্টের মতো—অন্তরাজুড়ে কোমল বিষাদ
যেন কাক উড়ে যায় নগরে প্রান্তরে
তার চোখের স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা
আমাদের নিয়ে খেলে, লিখে পদাবলী
তুমি আমার নিরব প্রস্থান, গল্পের রাত
প্রাচীন পুঁথির পৃষ্ঠার ভাঁজে চুম্বন মাধুরি
(চুম্বন মাধুরি)
গভীর তোমার ঘুম— নিদ্রায় নিদ্রায় কাটে বেলা
স্বপ্নময় শরীরে বেয়ে জাগে আমার ওঠে নীরবতা
(নীরবতা)
কোথাও আমরা নেই। পাকস্থলী অথবা ধমনীর কোনো বাঁকে
তুমুল গতি বা পাচক রসের নিরালায় একটি পাখিও নেই
সংসারে শুধু বিদায়ে পুঁজ, ক্ষরিত হচ্ছে কোথাও চন্দ্রবিন্দু
দপদপ ফুটছে ফুটপাথে নিদ্রার হারমনি, তীব্র গতির বাসে
কেউ নেই, ফাঁকা সিটগুলো আমাদের মতো কতো অসহায়
প্রিয় সর্বনাম, নির্লিঙ্গ পৃথিবীর আরেকটি দিন, এবং রাতের
খণ্ডাংশ চেয়ে নাও—অপুষ্টক জন্মের কথা ভুলে যাও
মনে রেখো এই রাত নিঃসঙ্গ হতে হতে মিলিয়ে যাবে ছায়ায়।
প্রেমে পড়া
যখন তোমাকে ভালোবাসি
ভেঙে পড়ে বিভেদ
ভুলে যাওয়া সব গান
বেজে ওঠে চূর্ণবিচূর্ণ রোদে
তোমার প্রেমে পড়া মানে
তোমার দিকে হেঁটে যাওয়া অবিচল।
পাহাড় ভ্রমণ
আমি তোমার নিভৃত গান। চলো পাহাড় ভ্রমণে।
সরীসৃপের মতো হোক পর্যটন। এক হেমন্তের বিকেলে
যাত্রা হবে শুরু। ভাঙাচোরা বিকেল জড়িয়ে বিলুপ্তির বিপরীতে চলো।
দুই হাত এক হবে, নাভীদেশে থাকবে কর্পূর।
সেই ঘ্রাণ পথ চিনিয়ে নিয়ে যাবে।
একটি পাতা, একটি বৃক্ষ
সমস্ত বনাঞ্চলের প্রজ্ঞা নিয়ে আমাদের পাশে পাশে ভ্রমিবে।