আদম-হাওয়া
আমিতো মাটির দেহ মাটিতেই মিশি
জীবন হোক না তবে আতরের শিশি
আমিতো জলের পোনা সাতারে ব্যাকুল
অথই সীমানা ভাঙ্গি তোমাতে আকুল
আমিতো হাওয়ার পোলা গন্ধমে মাতাল
আদমের দেহে খুঁজি আকাশ পাতাল!
আমিতো আগুনপনা পোড়াতেই পারি
পরমে মরম বুঝে—সুখ পেয়ে জারি
দোলনা
জীবনের কর্মখানা শুধুই তোমারে পাওয়া
বেহেস্তে না পেয়ে আদম খুঁজিল হাওয়া
সবাই চাইযে শুধু
শান্তির অমৃত মধু
মাওলা কোথায় পাবো বলো সেই দাওয়া।
কোথায় তোমার ঘর ঠিকানা পাবো বলোনা
আরশে আজিম ঘুরে আইলাম তবু পেলাম না
পৃথিবীতে থাকো না কি
কান্নাকাটি শোনো বা কি?
মরার আগে তোমায় পেলে স্বর্গে যেতাম না।
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলো তুমি—আমি পুতুল খেলনা
আবার তুমিই বলো এ জীবন নয়তো কোনো ফেলনা
আমি কি তবে দাবার গুটি
সব শান্তি নিচ্ছ লুটি
তাহলে কি মানবজন্ম ঝুলন্ত এক দোলনা?
ইশারা
গাছের পাতারা দ্যাখো—তোমাকেই জপে
নিজেকে দিলাম তাই তোমাতেই স’পে
সূর্য জ্বলে—মুখোমুখি হয় যে তোমার
জ্ঞানীরা খুঁজছে দেখো গালিব হোমার
পৃথিবীতে নামে আজ অন্ধকার এশা
মুক্তি শান্তি তুমি যেন আরশীয় দিশা
আসমানী কথাগুলো জমে এই বুকে
কেন মানুষেরা তবু মরে ধুকে ধুকে?
চাবুক
আমিতো ভাবের দিলে মেরেছি চাবুক
ডোন্টকেয়ার কেউ বা কিছু, ভাবলে ভাবুক
পাখিদল গান গায়—আমার সুরেই
কতোদূরে যাবে তুমি আমিতো অদূরে
ফুল-পালে হাওয়া খেলে মনের গভীর
মাথা নুয়ে পড়ে থাকে বিষধ অহির!
তারা-বাতি জ্বলে আর চাঁদের সোহাগ
পৃথিবীকে ঘরছাড়া করে যে বেবাক
জোনাকির আলো ফুল কি যে অপরূপ
ঘনসন্ধ্যায় কে উড়ায় ঈমানি ধূপ!
কে তুমি? আমি তবে কে?
আমার ভেতর আপনারে রেখে
পুলায়ে থাকো ক্যানো?
তোমার জাদুর কারিশমা আহা
জগত মেতেছে জ্যানো?