বঙ্গীয় ব-দ্বীপ ও নবউপাখ্যান
বিক্ষুব্ধতা বিরুদ্ধতা নোনা ঢেউ জলে—
সমুদ্রগভীর;
উপকূল ছেড়ে দূরে অসীম সাহসে
জাগে কার বুক?
জেগে ওঠে ওই দেখ ছোটবড় শত
পরতে পরতে পলিমা নীরব নিষ্ঠা;
আশার বর্ধিত রুপে বাংলাদেশ—বঙ্গীয় ব-দ্বীপ!
মাটিয়া পলিতে হাসে আসমুদ্র সীমা
পলিমা কোমল যতো, সবটুকু নিয়ে
এখানে কবির কবিতা পরতে খুব
সাহসে জাগুক আর প্রীতিতে বাড়ুক
বিপুল বিস্তৃত হৃদয়ের শ্বাসমূল—স্বপ্নোদ্যান।
সঘন পাতার ফাঁকে থেকে ডেকে ডেকে
পাখ-পাখালির সম্পর্ক সাধন হোক
চিত্রল হরিণ দল ছুটে যাক দ্বিধাহীন মায়া মায়া চোখে
পেছনে রয়েছে, আছে, থাক
উজানের হিমগিরি বাঁক—ক্ষরণের শিরশির
অথবা লাজুক চোখ—স্বভাবে উদাস…।
বীচি কাটা
হামাগুড়ি দিয়ে আগাও, এখন যুদ্ধকাল
শত্রু ছাউনি মোটেই দূরে নয়
মুহুর্তে ফুটুস হতে পার বীচিবাদী সংবর্ধনায়
আতরের দোকান থেকে যে ছড়াবে কৃতজ্ঞতার ঘ্রাণ
তার অবাধ্যতা বিপণনে, চশমা চোখের ভেল্কিবাজ—
বীচিবাদের বয়ানে, বীচিকলাই সর্বে সমাধান…
হাঁক যে ছাড়াতো পৃথিবীর জন্য জিহ্বাকেই লেলিহান করে
তক্তায় পেরেকঠোকা সে, যুতমত সেঁটে গেছে
বীচি হাতায় এখন, যখন-তখন
বীচি কাটা মানে, খাসির দামের প্রসঙ্গ উঠালে
কসাই, বাদামী বর্ণের একটি শূয়রের
দামের দেমাগে হামাগুড়ি কাটে আহা
বীচি কাটা হালাল-হারাম…
লোভে জিভে চিরিক চিরিক—লালার আলাপ !
প্রেস কনফারেন্স ও বাংলাদেশ
ও কালের মাননীয়, শোনো
আমিও এখানে সমবেত বিপণ্ণের পক্ষাগত
আলোর ছলনা দেখে, ঠেকে
ভালোর আলোর খোঁজে কালের বিবাগী
ভুল ভুল…
যেটুকু এগুলে, যেটুকু দেখালে হেসে
ভালোবাসাহীন—বৃথা কাটাই সময়…
নিত্য টানাটানির জীবনে
বিপণ্ণের চোখ থেকে বাষ্পীভূত পানি
এ-তো অশ্রু নয়, বিষমাখা অভিশাপ, তির জানি—
অস্তিত্বের সবটুকুজুড়ে ধনুকের টান প্রত্যেকেই সমবেত আজ;
নিশানার স্থির জায়েগায়—একরোখা শির !
বিশ্বাসের কসম কেটেই বলতে পারি
একটি সরল পথে এগুলেই
আমাদের কাঙ্ক্ষিত সমূহ কল্যাণ… ।
বন্য কলার চারা’র টিস্যুকালচারে ভালোই ঘটালে
কতিপয় আঙুলের বাড়বাড়ন্ত ডগায়;
এখনতো গোষ্ঠীর প্রবৃদ্ধি ফুলে ফেঁপে তাই ওঠা-নামা করে ডিজিটে—ভিজিটে
বেগম পাড়ায় থেকে তোমাকে দেখায় ওরা, ডিজিটাল টিউনে, বিদায়… !
স্বপ্নাতুর প্রতিটি মানসলোকে ভয়—
সব ‘পথের বিবাদ’ পথে মিটে যাক।
অবোধের ঘোর ঘুমভাব কেটে হেসো
প্রথম আলোয় প্রিয় দেশ;
সমবেত স্বপনের ভাঙচুরগুলো জড়ো হলে
জয়, আমি তুমি বাংলাদেশ।