মানবী
আমার উচ্ছ্বাসে যদি
দুরু দুরু কাঁপে কারও মন!
আমাকে হতে হবে তবে স্থির
আমি তো নই সমুদ্রের প্রবল ফেনারাশি
নই শ্রাবণের অবিরাম বর্ষণস্রোত
আমি তো নই ঝড়ো হাওয়ার মতো দুরন্ত
আমি তো মানবী এক।
প্রিয় বাংলাদেশ
টগবগে তরুণের রক্তে—যুদ্ধজয়ের প্রবল নেশা
নিরন্তর বাজে কানে শেখ মুজিবের ডাক
দেশমাতৃকার টানে, পেছনে ফেলে প্রেয়সীকে
লড়াই তার মুক্তিপাগল বাঘের মতো
কত সহযোদ্ধার লাশ, বুকে চাপা দীর্ঘশ্বাস।
দেশ হলো স্বাধীন,
রাশি রাশি আনন্দে অকুতোভয় বীর সেনা
ফেরে তার আপনের মাঝে।
ফেরে ফেলে আসা প্রেয়সীর ঠিকানায়
অভিলাষ তার প্রেয়সীকে জড়িয়ে বুকে
সারারাত শোনাবে যুদ্ধের গল্প।
কত না স্বপ্ন বুনেছিল সে।
প্রেয়সী বুঝি পর হয়, কোনো এক খেয়ালে
বোনেরা ঢাকে আচঁলে মুখ, লজ্জা পাবে বলে।
কত মা, কত বোন হারালো সম্ভ্রম
নিজেকে করে নিঃশেষ।
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
এলো এক বাংলাদেশ।
চুরমার
তোমাকে ভাঙতে গিয়ে—নিজেই হয়েছি চুরমার
বহু আপন হতে গিয়ে—দূরে সরেছি ঢের
কেন এমন হলো বলো তো?
এখন নিজেই নিজেকে ভাঙছি প্রতিনিয়ত।
জানো, সেদিন তুমি এসেছিলে অগোচরে
আমি হাত বাড়ালাম, তুমিও
তোমায় ছুঁতে গিয়ে পরম মমতায়
খুব যত্ন করে অদৃশ্য হলে!