স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) লেখক সম্মাননায় কবিতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেলেন তিন জন। এর মধ্যে আলমগীর নিষাদ তার ‘মোকসেদুল বাংলা’, অতুন তিয়াস ‘রাংসার কলরোল’ ও সুরাইয়া ইসলাম ‘দোলনা হারানো দিন’র জন্য এই পুরস্কার পান।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এর আগে, ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ প্রদানের জন্য একটি জুরিবোর্ড গঠন করে ডিএসইসি। জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস শামীম, কবি-গবেষক আমিনুল ইসলাম কথাসাহিত্যিক হাসান অরিন্দম, কবি-প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ ও কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।
জুরিবোর্ড কবিতা ক্যাটাগরিতে অতনু তিয়াস, সুরাইয়া ইসলাম ও আলমগীর নিষাদকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।
একুশ শতকের কবি অতনু তিয়াস। প্রকৃতি, পুরাণ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির রূপারূপ ‘রাংসার কলরোল’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোর আত্মা ও শরীরে দানা বেঁধে উঠেছে। জীবন বিচ্ছিন্ন নাগরিক, নাগরিক কোলাহলপূর্ণ বাস্তবতা নয়, গ্রাম ও প্রকৃতি তার কবিতার অনুষঙ্গ।
মাতৃত্বের পরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সুরাইয়া ইসলাম নিজেকে দেখতে পান সন্ততির ছায়ায়। আর এই ছায়ার ভেতরই বোনেন স্বপ্নের জাল। যে জালে উঠে আসে মাতৃত্বের আবাহন, মা-বাবার ভালোবাসা, শুকিয়ে যাওয়া নদী চন্দনা এবং দোলনায় দোল খাওয়া দিন। ‘দোলনা হারানো দিন’ মূলত কবির বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার স্কেচ।
লেখার প্যাটার্ন বা গাঁথুনি এবং শব্দ নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের ভেতর দিয়ে একটি স্বতন্ত্র ভাব ও ভাষাভঙ্গি তৈরি করতে করতে কবিতায় আলমগীর নিষাদের আবির্ভাব। এ পর্যন্ত তার তিনটি বই বের হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সহজ ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের শিল্পরূপ হলো ‘মোকসেদুল বাংলা’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কবিতা, গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ-গবেষণা, ভ্রমণ-বিজ্ঞান, অনুবাদ ও শিশুসাহিত্য; এই ছয় ক্যাটাগরিতে শতাধিক লেখকের মধ্য থেকে পুরস্কারের জন্য ২১ জনকে মনোনয়ন দেয় জুরিবোর্ড।
প্রবন্ধ-গবেষণায় লেখক সম্মাননা পেয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন মোহাম্মদ নূরুল হক, কাজী আলিম উজ জামান, দীপংকর গৌতম, মুস্তফা মনোয়ার সুজন ও অঞ্জন আচার্য। কবিতা ছাড়াও গল্প-উপন্যাস ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পান পাঁচ জন। তারা হলেন, শান্তনু চৌধুরী, ইমন চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল আহমেদ টিপু, রনি রেজা।
ভ্রমণ-বিজ্ঞান শাখায় সম্মাননার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয় তিন জনকে। এই তিন জন হলেন- আসিফ, জাহাঙ্গীর সুর ও সুমন ইসলাম। শিশু সাহিত্যে অদ্বৈত মারুত, মনসুর হেলাল, আশিক মুস্তাফাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া অনুবাদের জন্য সম্মাননা পান প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান।
উল্লেখ্য, সম্মাননাপ্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কারের ক্রেস্টের পাশাপাশি সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।