পাত্তা দেই না
স্মৃতিরা আজকাল খুবলে খেতে চায় আমাকে
আমি পাত্তা দেই না
আজিমপুর থেকে হাঁটতে থাকি ঢাকেশ্বরীর দিকে
যেখানে কিছু শিউলি ফুল ঝরে গেছে অবেলায়
কিংবা ওয়ারী বটেশ্বরের দিকে
মনে হয় হাজার বছর পুরনো মাটি দিয়ে পুতুল পুতুল খেলি চাচাতো বোনদের সাথে
যারা জীবন সংসারের হাল ধরতে গিয়ে ভুলে গেছে বাল্যজীবন
স্মৃতিরা আজকাল খুবলে খেতে চায় আমাকে
আমি পাত্তা দেই না
কিভাবে নতুন ধাঁচের কবিতা লেখা যায় তাই ভাবি।
কিছুই পারি না
প্রেমের কবিতাকে আমি ঠিক আপন করতে পারি না
ভাবতে গেলে গত হওয়া আমাদের চার বছর সামনে এগিয়ে আসে
আমি তারে কোনো কাঠামোয় আটকাতে পারি না।
অন্তঃসার শূন্য
বিশ্বসাহিত্য পড়তে গিয়ে জুলবার্ন হয়ে আশি দিনে ভ্রমণ করি পুরো পৃথিবী
ভেসে ভেসে লিলিপুরের দেশে যাই
কখনো আবার রাল্ফের মতো আটকা পড়ে যাই কোনো এক নির্জন দ্বীপে।
বাইজেনটিয়ামে খুঁজে ফিরি প্রৌঢ়ত্ব ঘুচানোর কিছু উপাদান।
মূলত আঠারো ফুট মারলিনের পেছনে ছুটতে গিয়ে দেখি কাঁটা ছাড়া আমার আর কিছুই নেই।