টেবিলের ওপর বিমর্ষ বুলবুলবেদনাকাব্য
জানি না হয়তো প্রতিদিনই স্পর্শ করতি বাবাকে
বাবার ছবিটা দেয়ালে টানানো;
যৌবনের যূথিকা মৌতাত ভরা
ঘরে উড়ছে এখন কর্পূরের গন্ধ;
বয়সী সন্ন্যাস মেলাতে পারে না জীবনের অঙ্ক।
কী শীতল মুখ; নিথর শরীর পড়ে আছে
ঝরা গোলাপের মতো উঠোনে বেদনাকাব্য;
এখানেই বেড়ে উঠছিল নতুন যৌবন রোদ্দুর
মেঘ ভেঙে নেমে আসে অকস্মাৎ পাগলা প্রভঞ্জন
পৃথিবী সমান অন্ধকার,
অভিমানের কবিতা তুই; বিবর্ণ বাতাসে সাড়াহীন!
পুরনো বৃক্ষরা বুক ভাঙে; ডানা ঝাপটায়
ঝড়ে দিকহারা পাখি;
শুকনো চোখের কঠোরে যে জীবনপোড়া আগুন
বুকের খাঁচায় কবরের কাঁচামাটি
চতুর্দিকে এখনো যে নরম রোদের নিশ্বাসের গন্ধ;
কী ভীষণ অন্ধকারে ডুবে গেলো জীবনপাঁপড়ি।
টেবিলে বেদনা হয়ে পড়ে আছে
বুলবুলবেদনাকাব্য;
কখনো ভাবিনি তোর কাঁচা বুকে
সেই একই বেদনা নিয়েছে গোপন গহিন বসতি!
উড়ছে এখন নিশ্বাসহীন নিশ্বাসে কর্পূরের গন্ধ
বয়সী সন্ন্যাস মেলাতে পারে না জীবনের অঙ্ক।