পর্ব-১
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও তার করুণ মৃত্যুর ভেতর দিয়েই ভারতবর্ষ পরাধীনতার শেকলে বন্দি হয়ে পড়ে। এই শেকল ছিঁড়তে বহু বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। বহু তাজা প্রাণ বলি হয়েছে। আমরা যদি ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করি, তাহলে দেখবো, ভারতবর্ষে বিভিন্নভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নানাভাবে স্মরণ করা হয়। অতীতেও হয়েছে। কেন করা হয়, এটা একটা প্রশ্ন। তার করুণ মৃত্যুর কারণেই কি স্মরণ করা হয় বা হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে এ রকম করুণ মৃত্যু বা ট্র্যাজেডিপূর্ণ মৃত্যু তো ভারতবর্ষের ইতিহাসে আরও আছে—তাদের স্মরণ করা হয় কেন? এসবও তো প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলাকে স্মরণের মধ্যে একটা বিশেষত্ব আছে। তাহলো তার ভাগ্যের সঙ্গে ভারতবর্ষের ভাগ্য জড়িত ছিল।
সিরাজউদ্দৌলার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা তথা ভারতবর্ষেরও স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পরপরই স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন ও বিপ্লব সংঘটিত হতে থাকে। দেশের জন্য জীবনের বলি উৎসব ঘটতে থাকে। সিরাজউদ্দৌলাকে স্মরণের একটা বড় কারণ এখানেই যে, স্বাধীনতার জন্য ক্রন্দন—স্বাধীনতাকে ফিরে পাওয়ার জন্য উৎসব—স্বাধীনতাকে ফিরে পাওয়ার প্রয়োজন উপলব্ধিকরণ। এটা আশা ও আনন্দের। সিরাজউদ্দৌলাকে স্মরণের এটা একটা বড় কারণ ছিল। স্বাধীনতাকে ফিরে পাওয়ার জন্য এদেশে স্বাধীনতাকামী মানুষ বিভিন্ন রকম বিপ্লবী কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এ প্রশ্নও তো আসতে পারে, ভারত ভাগ হলো—বাংলা ভাগ হলো—এটা তো পরের বিষয়। যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হলো—তখন উর্মিচাঁদ-মীরজাফরের মতো কয়েকটা মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় এত বড় পরাজয় কিভাবে ঘটে! তখন যদি জাতীয়তাবোধ দেশবাসীর মধ্যে প্রবলভাবে থাকতো, তাহলে কয়েকটা মানুষের চক্রান্তে ভারতবর্ষের এই মহাবিপর্যয় ঘটতো না—নবাব সিরাজউদ্দৌলারও ট্র্যাজিক পরিণতি ঘটতো না—স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যেতো না।
১৮২৫ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিধবা রাণী চান্নাম্মা। এ যুদ্ধ ছিল অসম। বিশাল ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে এ যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও বন্দি হন। কারাগারে তার মৃত্যু হয। চান্নাম্মার মৃত্যুর পর এ বিদ্রোহকে এগিয়ে নেন সাঙ্গোলির চাষির ছেলে বায়ান্না।
তখন দেশবাসী জাতীয়তা-বিরোধী চক্রান্তকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য বদ্ধ পরিকর হয়নি। এর কারণও পরিষ্কার—জাতীয়তাবোধের অভাব। জাতীয়তাবোধের অভাবের কারণেই সিরাজউদ্দৌলার ট্র্যাজিক পরিণতিকে নিজেদের পরিণতি বলে মেনে নিতে পারলো না। আর পারলো না বলেই ব্রিটিশরা সহজেই প্রায় দুশো বছর আমাদের শাসনে শোষনে বেঁধে রাখতে পারলো। এই ভারতবর্ষ কার—এই প্রশ্নও উত্থাপিত হয়েছে বহুকৌণিকভাবে। যে কারণে দেশের স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্য যেমন একশ্রেণীর তরুণ স্বদেশি আন্দোলন করে ফড়িঙের মতো অগ্নিকুণ্ডে জীবন দিয়েছে, আর এক শ্রেণী ইংরেজদের সঙ্গে মিশে আয়েশি জীবনযাপন করেছে।
জাতীয়তাবোধের অভাবের কারণেই এমনটি ঘটা স্বাভাবিক ছিল। ফলে ভারতবর্ষ কার—এ প্রশ্ন তো খুবই স্বাভাবিক হয়ে দেখা দিয়েছিল। এর উত্তর দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ বিস্মৃত হয়ে যে ভারতবর্ষের সেবা করে ভারতবর্ষ তার, কারণ সেবার দ্বারাই সে তাকে আপন করে নেয়—তার অভিভাবক হয়ে দাঁড়ায়।’ দেশের সেবার জন্য তখন মুক্তিপাগল তরুণরা মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও বিপ্লবের পথ বেছে নিয়েছিল। ফকির মজনু শাহ, ভবানী পাঠক, নুরুল মুহম্মদ, পীতম্বর, দেবী চৌধুরাণী, মজনু শাহের মৃত্যু হলে তার ভাই মুসা শাহ এবং পরে পুত্র চেরাগ আলী শাহ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন। ফকির সন্ন্যাসীদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় টিপু গারো (?-১৮৫২)-এর নেতৃত্বে শেরপুরে ও গারো অঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশরা এক আইন জারির মাধ্যমে বাংলার কৃষিজমির ওপর ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা’ চালু করে। এতে বাংলার কৃষকরা তাদের জমির অধিকার হারায়। ফলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষকরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
১৭৯৯ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান হায়দার আলী ও তার পুত্র টিপু সুলতান। ফরাসিদের সহায়তায় টিপু সুলতান আধুনিক অর্থনীতি সেনাবাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। পলাশীর যুদ্ধের সঙ্গে এ যুদ্ধ তুলনীয় হতে পারে। মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব সিরাজউদদৌলার পরাজয়ের মতোই প্রায় একই দৃশ্যপটের অবতারণা ঘটে টিপু সুলতানের ক্ষেত্রেও। এ আন্দোলনের ধারাকে এগিয়ে নেন তিতুমীর (১৭৮২-১৮৩১)। ওয়াহাবী আন্দোলনের মাধ্যমে মুসলমান কৃষকদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন তিনি। চব্বিশপরগনা জেলায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। এ আন্দোলন সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নিলে ইংরেজরা ১৮৩১ সালে তিতুমীরের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তার বাঁশের কেল্লায় আক্রমণ চালায়। বাংলার ভাটি অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুরের হাজি শরীয়তুল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০)। তিনি ‘ফরায়জী’ নামে কৃষকদের গোপন সংগঠন তৈরি করেন। এরপর এ আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার পুত্র দুদুমিয়া (১৮১৯-১৮৬০)।
১৭৯৯ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে পলিগার বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। পলিগার বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন পাঞ্জালাল কুরিচির বীর পান্ডেয়ম কাট্রাবোম্মান। এ যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ইংরেজ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়। ১৮২৫ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিধবা রাণী চান্নাম্মা। এ যুদ্ধ ছিল অসম। বিশাল ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে এ যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও বন্দি হন। কারাগারে তার মৃত্যু হয। চান্নাম্মার মৃত্যুর পর এ বিদ্রোহকে এগিয়ে নেন সাঙ্গোলির চাষির ছেলে বায়ান্না। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে ইংরেজ বাহিনী ১৮৩০ সালে এপ্রিল মাসে চরম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এ প্রতিরোধ সংগ্রামকে থামিয়ে দেয়।
এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বীরসা মুণ্ডা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ১৯০০ সালের ৯ জানুয়ারি পুলিশের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে বীরসা মুণ্ডার বাহিনীর যুদ্ধ সংঘঠিত হলে বীরসা মুণ্ডা পরাজিত হন।
ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ১৮২৪-২৫ সালে মধ্যভারতের বুন্দেখণ্ডে হিন্দু-মুসলমান গরিব চাষিরা বিদ্রোহ করে। জাঠচাষিরা বিদ্রোহ করে ১৮২৪ সালে। গুজরাটে কোল বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৮৩৯—১৮৪৫ পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রের সামন্তওয়ারি ও কোলাপুরে বিদ্রোহ হয় ১৮৪৫ সালে। ১৮২৯-৩৩ সালে মেঘালয়ের অধিবাসিরা সংঘটিত করে খাসিয়া বিদ্রোহ। সাঁওতালরাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। ১৭৮৪ সালে সাঁওতালরা প্রথম ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। সাঁওতাল নেতা তিলকা মানঝির গুলতির আঘাতে ইংরেজ কালেক্টর ক্লিভল্যান্ড মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তিলকা মনাঝি গ্রেফতার হন। পরিণতিতে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এরপর মুর্শিদাবাদ ও ভাগলপুর এলাকায় ইংরেজদের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। ফলে সিধু, কানু, ভৈরব ও চাঁদ—চার ভাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংগঠিত করতে থাকেন। এঁদের নেতৃত্বে ‘দামিনইকো’ শহরের নিকটস্থ ভাগনাহাটি গ্রামে বিশাল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ইংরেজ সৈন্যরা আক্রমণ চালালে বিদ্রোহীরা দারোগা ও তার পুলিশকে হত্যা করে বন্দুকগুলো নিজেদের দখলে নেন। এরপর এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে সাঁওতাল দ্রুত সময়ে বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও বিহারের বড় একটি অংশের দখল গ্রহণ করেন। এরপর এ-চার ভাইয়ের নেতৃত্বে সংগঠিত বিদ্রোহ দমনের জন্য কলকাতা থেকে ১৬ জুলাই বিরাট এক পুলিশ বাহিনী এসে আক্রমণ শুরু করে। এতে সিধু-কানুর নেতৃত্বে সংগঠিত বিদ্রোহের দমন ঘটে।
১৮৩০ সালে ছোট নাগপুরের উপজাতি অঞ্চলে শুরু হয় আদিবাসী বিদ্রোহ। রাচী থেকে মানভূমি পর্যন্ত লাখ লাখ মুণ্ডা ও হো এ বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এ বিদ্রোহ চলে ১৮৩৩ পর্যন্ত।
লর্ড-ক্যানিং ভারতে গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হওয়ার পর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সামরিক ও নানাকারণে এ বিপ্লবের জন্ম হয়। এ বিপ্লব প্রথম শুরু হয় ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরে। পরবর্তী সময়ে এ বিপ্লব মীরাট, দিল্লি, যুক্তপ্রদেশ, মধ্যভারতসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীগণ দিল্লিকে মুক্ত করে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করেন। বিদ্রোহীদের প্রধানকেন্দ্র ছিল দিল্লি, মীরাট, লক্ষ্ণৌ, কানপুর, কেরালা ও ঝাঁসি। কানপুরে বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেন নানাসাহেব। তিনি কানপুরে সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। অযোধ্যার প্রাক্তন রাজার স্ত্রী বেগম হযরত মহল অযোধ্যার বিপ্লব পরিচালনা করেন। আহাম্মদউল্লাহ ছিলেন অযোধ্যার বিপ্লবীদের সুবিদিত নেতা। বেরিলীতে হাফিজ রহমত খানের বংশধর খান বাহাদুর খান নিজেকে দিল্লির সম্রাটের স্থানীয় প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করেন। এলাহাবাদে মৌলভী লিয়াকত আলী শাসনভার গ্রহণ করেন। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ স্বাধীনভাবে ঝাঁসি শাসন করেন। এসব নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক মুঘল সম্রাটের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন। সিপাহী বিদ্রোহ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ইংরেজ শাসনের ভিত কেঁপে ওঠে। এই বিপ্লবকে দমন করতে তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শিখ, নেপালি ও ব্রিটিশ সৈন্যরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সিপাহী বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়।
চারমাস অবরোধের পর ব্রিটিশ সৈন্যরা দিল্লি উদ্ধার করে বাহাদুর শাহকে বন্দি করে রেঙ্গুন নির্বাসন দেয়। নির্বাসনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কানপুর উদ্ধার করে স্থানীয় অধিবাসীদের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে ব্যাপক অত্যাচার চালায়। নানাসাহেব নেপালের জঙ্গলে আশ্রয় নেন, এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অযোধ্যার এক বিশ্বাসঘাতকের গুলিতে নিহত হন দেশপ্রেমিক আহমদউল্লাহ। বেরিলীতে এক বছর বিদ্রোহ চলার পর দখল করে ক্যাম্বেল সাহেব। নানাসাহেবের সেনাপতি তাঁতিয়া তোপী ইংরেজদের হাতে নিহত হন। যুদ্ধ করা অবস্থায় নিহত হন ঝাঁসির রানি। সিপাহী বিদ্রোহ স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবেই স্বীকৃত।
ইংরেজদের নীলচাষের বিরুদ্ধে যশোরের চৌগাছা গ্রামের বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিদ্রোহ সংগঠিত হতে থাকে। ১৮৫৯ সালে ইংরেজ সৈন্যরা চৌগাছায় বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে। এ আক্রমণের কারণে নীলচাষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আগুন আরও ব্যাপকতা লাভ করে এবং সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনের ফলে ইংরেজরা ১৮৬১ সালে বাংলায় নীলচাষ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
বীরসা মুণ্ডার নেতৃত্বে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ১৮৯৯ সালে দুর্ভিক্ষ হয়। এসময় ইংরেজরা খাজনা আদায়ে ভয়াবহ নির্মম হয়ে ওঠে। গরিব কৃষকদের ওপর অন্যায়ভাবে নানারকম অত্যাচার চালায়। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বীরসা মুণ্ডা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ১৯০০ সালের ৯ জানুয়ারি পুলিশের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে বীরসা মুণ্ডার বাহিনীর যুদ্ধ সংঘঠিত হলে বীরসা মুণ্ডা পরাজিত হন। তাকে গ্রেফতার করে রাঁচি জেলে বন্দি রাখা হয়। এ জেলে বন্দি অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
চলবে…