প্রাক্তন
শৈশবের খাটে শুয়ে বর্তমান নয়
প্রাক্তনই ভর করে স্বপ্নে
চিনেবাদামের ঠোঙ্গা হাতে
ফিরিয়ে নিয়ে যায় পাড়ার গলিতে
অলকানন্দার ঝাড়ে লুকানো
চিঠি উড়িয়ে দেয় আকাশে
শৈশবের অবুঝ চাওয়া
প্রতিধ্বনিত হয়ে ছুটি ছুটে আসে।
ইলশেগুঁড়ি
আজ ঘরের কোণে
উদাস বনে ধাই
ঝরো হাওয়ায় আঁখি মুদে
মন হাতড়ে বেড়াই,
ইলশেগুঁড়ি ঝাল মুড়িতে
করছে লুটোপুটি
ঘাসে ঘাসে, হেসে হেসে
জলের খুনসুটি
রাজা রানি জানলা ধরে
অবাক চেয়ে রয়
নিমিখ ক্ষণে শিহরণে
কিচ্ছুটি না কয়।
উন্মোচিত প্রলাপ
একটা কথাই বলার ছিল
গুনে গুনে হাজার কথা বলা হলো
তবু, একটা কথাই রয়ে গেলো
চোরাবালিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে বুঝি
সবটা গল্পের উন্মোচন করা হলো না,
অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে গল্পটা আর পড়া হলো না
কেউ তো এসে বলে গেলো না
জেনে গেছি আমি, জেনে গেছে সে
না বলা কথাগুলো কখনো বা কোনো এক
উদ্ভ্রান্ত কোকিল কুহু-কুহু তানে
কিংবা এলোকেশী নর্তকী ময়ুরের গানে
বলে যাবে তোমার বুভুক্ষু অন্তরের কানে।
;