হেঁটে হেঁটে
হেঁটে হেঁটে হেঁটে যাই যদ্দুর
আমার সাথে চলে একা রোদ্দুর
কদ্দুর যাবো আমি জানি না সেটাই
খুব কি খারাপ হবে যদি বা হারাই?
হারাতে হারাতে আমি পেয়ে যাবো পথ?
হাতে হাত রেখে আমি করবো শপথ?
কোন্ পথ কোন্ দিকে রাখে কে খবর?
সব পথ হয়ে ওঠে স্মৃতি গহ্বর।
জীবন এখন কেবল অনুযোগে ঠাসা
জীবন মানেই শুধু অকারণে ভাসা?
ভাসতে ভাসতে আমি যাবো কদ্দুর!
যতদূর চলে গেছে সব রোদ্দুর?
কতদূর
তোমার না থাকাটাই একটা কবিতা হয়ে গেছে।
সত্যি তোমার এই না থাকা
আমার কাছে এখন অক্ষরবৃত্তের একটি কবিতা
জমাট, দীর্ঘ, দমবন্ধ
কামগন্ধহীন তোমার এই না থাকায়
এখনো কেন আমার অভ্যেস হলো না!
আমি কি চেয়েছিলাম তোমাকে মাত্রাবৃত্তে বাঁধতে, আঁটোসাঁটো?
অথচ তুমি স্বরবৃত্তের মতো
দ্রুত, চটুল গতিতে কোথায় পালালে, কতদূর?
তুমি বলেছিলে
তুমি বলেছিলে একা থাকাটাই আরাধ্য তোমার!
অথচ মানুষ কখনো একা নয়
অমার রন্ধ্রে স্মৃতি পিপীলিকা ঘর বাঁধে
মস্তিষ্কের কোষে কোষে চলে নিবিড় চাষবাস
বর্ষায় অরণ্য যেমন ঘন হয়ে ওঠে
স্মৃতিরাও এই বর্ষায় দেখো কেমন নিবিড় গভীর হয়ে উঠেছে!
কোথায় পালাবো, কতদূর?
অরণ্যের শত্রুতা কি আমরা জানি না?
বৃক্ষের ছলচাতুরিও?
কাছে ডেকে, ভুলিয়েভালিয়ে একদিন সে-ও
হয়ে উঠবে হন্তারক।
তাই এসো, বলি,
চলো আমরাই বৃক্ষ হয়ে উঠি
ছায়া দেই পরস্পরকে!
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা