শামুক-বেজির মতো
শামুকের স্বভাবে প্রবিষ্ট হই বেজির ভঙ্গিমায় তাকিয়ে দেখি
এখন দেখছি বদলে যাওয়া হবে না কখনো কোনোদিন আর
সেই রাখালের কথা গেঁথে রাখি যার বাঁশি ছিল খেজুরের পাতা
যে রাস্তায় ও কখনো হাঁটবে না তাতে ছিল পল্লবিত শ্বেতদ্রোণ
আলাদা পরিচয় ছিল না তার গরু ও ছাগলবিহীন রাখাল
দুপুরের রোদে শিমুলতলায় কাঁচি দিয়ে কুচিকুচি করা ছায়া
অবিশ্বাসের পেখম তুলে নেচে-গেয়ে চলে গেছে মেঘমাখা দিন
লালাভ উত্তুরে মেঘ চোখগুলো উল্টিয়ে তাকায় এখন-তখন
ফিরে ফিরে আসে
ফিরে ফিরে আসে বসে থাকে ঘাসে
বাদাম চিবানোর হয়তো এখুনি সময়
চোরাকাঁটা হেসে খুব ভালোবেসে
পাজামার মাঠে পুঁতে দেয় কিছুটা প্রণয়
দেহ নিয়ে এসে বলে অবশেষে
এসো তবে হয়ে যাক দেহাদেহি রমণীয়
আমরণ মেলা সনাতন খেলা
শানাও জুবুথুবু ওই তরবারি ওগো প্রিয়
বলার কিছুই নেই
সময় বদলে গেছে বলে কথা
আফ্রোদিতি এখন নিশানা করেছে ধনুক
বেচারা চিপায় পড়ে হয়ে গেছে কিউপিড
বলার কিছুই নেই অবেলায়
টেডি-চোস্ত স্ট্রেইট-কাট বেলবোটম ডিস্কো
এবং সভ্যতার শো’তে এটাসেটা আসবেই
একবার অনুমতি পেয়ে গেলে
অবিরাম সন্তরণ-অবগাহনের খেলা
হিমজলে এঁকে দেয়া যাবে ঢেউ এর মুদ্রা
উল্লাসে উল্লাসে মহুয়া জম্পেশ
কোষে ও কলায় মাখামাখি তার কিছু রেশ
সময় বদলে গেছে তাই আহা বেশ বেশ