সবিনয় নিবেদন
রাত গভীরে ট্রেন এসে ভেড়ে
হুঁইসেল হলে নীরবতা ভুলে
চোখের কোণ খোঁজে আনমন
চুপিসারে ভয়, ইশারায় কয়
সরে যেও না
দুপুরের ঝিম বয়ে আনে হিম
আলসেমি সুর কাছে থেকে দূর
বসন্ত-ডাক পাখিদের ঝাঁক
শুধু আবেদন জাগায় কাঁপন
ছেড়ে থেকো না
ভোরের শিশির জাগায় নিবিড়
বিবাগী চাওয়া হারিয়ে পাওয়া
কী যে অভিমান ভাঙালো ধেয়ান
মায়া ভরা চোখে কয় উন্মুখে
না ভোলো না
নামে কী বা আসে
বিশালতার নাম সমুদ্র
অসীম মানে তো আকাশ
নীল নিয়েছে বেদনাকে
তুমি বুঝি দীর্ঘশ্বাস!
সবুজের নাম অবুঝ
শান্তকে ডাকি দিঘি
চোখের নাম গভীরতা
নিয়তি সে তো খোঁজ
অগ্নি মানে তো তুমি
নিঃশেষ হয়তো আমি
দুঃখকে ডাকি অসীম
সহ্যকে ডাকি ভুমি
দুজন প্রত্নতাত্ত্বিক
বছরের শুরুতে আমাদের দেখা হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি
বছরের শেষ মাথায় দেখাটা হলেও হতে পারে
তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই একশত ভাগ
আমাদের একসঙ্গে খনন করার কথা আছে পুরনো ঢিবি
উদঘাটন করার কথা অনেক অজানা তথ্য
আমরা জমিয়ে রেখেছি আমাদের বৃক্ষে উৎপাদিত
রসালো ফল, মৌমাছির চাকভাঙা খাঁটি মধু,
অনেক কষ্টে ঘানিতে ভাঙানো সরিষার ঝাঁজালো তেল
ধাতুতে পেষা পায়ড়ার ছাতু, গুড়, মুড়ি, চিড়া, দই সব
আমরা খুব যত্নে একথালে বসে খাবো বলে সব জমিয়ে
রেখেছি আমাদের ভাঁড়ার ঘরে,
আমাদের অনেক বেশি মিল,
মিল গুলো যেদিন অমিল হবে
সেদিন আমরা সব কিছুর মিলন ঘটাবো,
এবছর না হোক আসছে বছর কিংবা
অনেক অনেক বছর পর,
হয়তো তখন
পুরনো সভ্যতা হিসেবে পৃথিবীতে নতুন কোনো সভ্যতা
আবিষ্কারে মত্ত হবে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ।
আরও পড়ুন: বিবাদ ঘটায় শহুরে লোক ॥ পূর্ণিয়া সামিয়া