ভয়
ভয় অন্ধকার হয়ে ছড়িয়ে যায়।
যেখানে আলো প্রথম হয়ে এলে, সেই ভিড়ে
ইথিওপিয়া খিদে থেকে শিল্পের ভাবনা লুকিয়ে রাখি।
এক রূপকথা দিগন্ত
হাটুরেরা কবিতা কিনবে, তাই ফিরে এলো
এদিকে সব অক্ষর বন্ধক রেখে এসেছি।
দিন-চারেক অন্নহীন কবি
অক্ষর গর্ভলাভের জন্য দেহ বিকোচ্ছে একে একে….
বুলেট
তারা তাঁতঘরে বসে আলো তৈরি করে
তরঙ্গ-কণিকা-প্রতিফলন সবই মজুদ আছে।
দিগন্ত জোৎস্না ফিরিয়ে, আঁধার
আবাহনের পোশাক পড়েছে।
তাই লাশের বীর্য যেন শস্য গাছ
কিভাবে ঘটে এমন? দেহ তো নির্জীব,
পরজন্মের সাদা পাতা গর্ভবতী হয়
অক্ষরের যৌনমিলনেও শব্দশিশ্ন জাগে না
হয়তো যুবতী কবিতার দেহে বাসা বেঁধেছে বন্ধ্যা বুলেট।
তর্পণ
বাতাসের দেহে সদলবলে মিশে যাচ্ছে গন্ধক
ওদের হল্লা শুরু হবে, আগুনের কাছে আসতে হবে
ধ্বংসের মাঝে কেড়ে নিতে হবে জয়মুকুট
অসফল বিক্রিয়ায় নয়তো পুড়ে যাবে সব
কিন্তু কী পাবে ওরা? প্রেম, হাসি, কাম, আশা?
আশা। এই আশা ও গ্রীবায় রেখে হাত দেয় আগুনে।
অ্যাসিড সবার চেয়ে,সব থেকে বিষাক্ত নভোযান
তবুও নরম রোদ চাইবে ওরা, টেস্টটিউবের সাগর
উপচে পড়বে। ঈর্ষায় নিশ্চিহ্ন হবে বাকি সব বিক্রিয়া…
জীবনের নৈঋতে গন্ধকই গোপন তর্পণ!
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা