০১.
আমরা দুজন ১৯৮৬ সালে সংসার শুরু করেছিলাম বটে; কিন্তু কেবল সংসার যাপনই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না! আমার লক্ষ্য সাহিত্য, বকুলের অভিনয়শিল্প! শিল্পের পথে এমন সাফল্য সবার জীবনে আসে না যাতে শিল্পযাপনেই জীবিকার সংস্থান হবে। কিন্তু শিল্পী বা সাহিত্যিককে তো তাঁদের সাধনা রাখতে হয় অব্যাহত! তাঁরা তো বায়ুভূক নন, বেঁচে থাকার অভিযানে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয় আর দশ জন সাধারণ মানুষের মতোই ঝঞ্ঝাটময় কাজ করেই, তাদেরকেও আর দশ জন মানুষের মতোই সামলাতে হয় সংসারের হাজারটা ঝামেলা!
বকুল আর আমি যে ৩৫ বছর ধরে একত্রবাস করতে পারছি তার রহস্য আসলে এখানেই!
০২.
অনায়াসেই শিরীন বকুল জীবন বা জীবিকার সহজ কোনো উপায় বেছে নিতে পারত, অথবা বেছে নিতে পারতো আয়েসী জীবন; খোলাও ছিল তার সে পথ! তা না করে আমার মতো চালচুলো ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাহীন মানুষের সঙ্গে জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ও! কৈশোর-উত্তীর্ণ বয়সের রোমান্টিক কল্পনামাত্র ছিল না সেটা! সেটা ছিল নিশ্চিত বন্ধুরতার, অনিশ্চয়তার এক যাত্রা! এমনই দুর্গম সে যাত্রা যে অধিকাংশ মানুষই এ রকম পরিস্থিতিতে স্বল্প দূরত্ব পার করতে-না-করতেই এক সময় রণে ভঙ্গ দেয়!
০৩.
মঞ্চের আলোয় থাকায় ওর সাহিত্য চর্চা উইংসের আড়ালে পড়লেও সেখানেও ওর সম্পদ নিছক কম নয়! সাহিত্য সবসময় তারও প্রাণের বিষয়! কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাওয়ার উচ্চাভিলাষে মেকি প্রতিষ্ঠা অর্জনের ভান ওর অন্তরকে কলুষিত করেনি! ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মঞ্চ বেতার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে ওর ব্যাপক অংশগ্রহণের খবর বাংলাদেশের সংস্কৃতিমনা মানুষের কিছু কিছু হয়তো জানা আছে! মঞ্চে আবৃত্তি এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও শিরীন বকুল অনেকেরই প্রিয়! আর নিভৃতে লেখালিখির ব্যাপার তো আছেই! কিন্তু এই সবের চেয়ে ওর মঞ্চসাধনাকে আমি অনুসরণীয়তর মনে করি! টানা এতগুলো বছর কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছাড়া ওর মতো কেবল ভালোবাসার টানে কাজ করে যাওয়ার দৃষ্টান্ত সারা বাংলাদেশেই খুব বেশি নেই!
০৪.
২০১৭ সালের আমরা যখন নিউইয়র্কে আসি তখন ঢাকার মঞ্চে সবে ওর অভিনীত আবদুল্লাহ আল মামুন রচিত ও প্রদীপ দত্ত নির্দেশিত ‘তৃতীয় পুরষ’ নাটকের নিয়মিত মঞ্চায়ন চলছে! সেই নাটকেরই একক অভিনয়োপযোগী একটা রূপ সে মঞ্চে থিয়েটার উপস্থাপনের কোনো রকম ব্যবস্থা ছাড়াই ঐ বছর ২১ মে তারিখে হাজির করল নিউইয়র্কের পিএস ৬৯ মঞ্চে! ওর সম্বল ছিল কেবল অভিনয়ের সামর্থ্যটুকুই!
আরও একটি প্রদর্শনী হলো নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২৪ জুনে! ঢাকা ড্রামার সঙ্গে কাজটি করতে করতে যেন প্রাণ ফিরে এলো বকুলের!
নিউইয়র্কে এসে থিয়েটারের টানে বকুল জীবিকার পাশাপাশি যুক্ত হয়ে পড়ল নাটকের দল ‘ঢাকা ড্রামা’র সঙ্গে! সকলেরই জানা আছে এখানে যাঁরা থিয়েটার করেন তাঁদের বেঁচে থাকাটাই একটা সংগ্রামের বিষয়! তার ওপর দলের সকলের পক্ষে একই সময় একত্র হওয়া কত কঠিন! এরই মধ্যে মহড়ায় ওর উপস্থিতি ও নিষ্ঠা সকলের চোখে পড়ার মতো! আজ ওর সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে দেখি বছর চারেকের নিউইয়র্কবাসে মঞ্চের জন্যও কম কাজ করেনি ও!
০৫.
২০১৭ সালে আবদুল্লাহ আল মামুনের লেখা নাটকের একক অভিনয়োপযোগী রূপের উপস্থাপন দিয়ে শুরু! এ বছর পয়লা আগস্ট ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টসে’র নজরুল উৎসবে উপস্থাপনের জন্য দলের নির্দেশে নজরুল ইসলামের ‘রাক্ষুসী’ গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছে সে নিজে, নির্দেশনাও তারই! বলা যায় নানা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দিনের পর দিন ভার্চুয়াল মহড়ায় যুক্ত থেকে গোটা দলটাকেই উজ্জীবিত রাখছে সে!
০৬.
নিউইয়র্কে আসবার পর মঞ্চে কী কী কাজ করেছে বকুল তার একটা পঞ্জি তৈরি করার কথা মনে এলো হঠাৎ! ভেবেছিলাম ৪ বছরে কয়টা আর কাজ? কিন্তু শুধু ৪ বছরের কাজের হিসেবটুকু করতে গিয়েই আমাকে রীতিমতো গবেষণায় নামতে হয়েছে! নিজের গবেষক সত্তা দিয়ে বুঝতে পারি এই পঞ্জিতেও ওকে পুরোটা ধরা গেল না! স্বল্প সময় পরিসরেও কাজের পরিমাণ নেহাত কম নয়!
২০১৮ সালে ঢাকা ড্রামার সঙ্গে মঞ্চে কাজ করল সারোয়ার হারুন নির্দেশিত জিয়া হায়দার রচিত ‘স্মৃতি ৭১’। বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে ৩১ মার্চ ‘ঢাকা ড্রামা’র নাট্যোৎসবে অভিনয় করল পূর্ণাঙ্গ থিয়েটার উপস্থাপনা ‘স্মৃতি ৭১’-এ; এ ছাড়াও একটা প্রদর্শনী হলো নিউ জার্সির অঙ্গন মঞ্চের উৎসবে ৩ জুন! আরও একটি প্রদর্শনী হলো নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২৪ জুনে! ঢাকা ড্রামার সঙ্গে কাজটি করতে করতে যেন প্রাণ ফিরে এলো বকুলের!
এখানেও বকুলের অংশগ্রহণ ছিল মূলত দলগত! কিন্তু সম্পন্ন থিয়েটারীয় প্রয়াসের সঙ্গে থাকতে পেরে সব সময় আনন্দিত বোধ করতে দেখেছি ওকে!
২০১৮ সালে উদযাপিত হলো ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন)-এর ২০ বছর পূর্তি উৎসব। আয়োজকদের অনুরোধে খ্যাতিমান ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন লিখে দিলেন একক অভিনয়োপযোগী নাট্যিক ছড়া ‘আত্মহননের পূর্বরাত্রিতে’! টানা আধঘণ্টার এই ছড়াটি স্মৃতিস্থ ও আত্মস্থ করবার জন্য বকুল প্রায় তিন মাস ধরে যে সাধনা করেছে তার এক মাত্র সাক্ষী আমি! আমি দেখেছি শেকসপীয়ারের হ্যামলেট, ওথেলো, ম্যাকবেথ, টেম্পেস্ট নাটকের বাংলা নাট্যরূপের অভিনয় করতে গিয়ে ফেরদৌসী মজুমদার, আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকের, তারিক আনাম খান, খালেদ খানদের কী সাধনা করতে হয়েছিল! সংলাপের সবগুলো সূক্ষ্ম খুঁটিনাটিতে নজর দেয়ার চেষ্টায় তাঁরা ছিলেন অস্থির! তবে সেতো ছিল তাঁদের দলগত মহড়া! নানা সাংগঠনিক উপযোগ ছিল তাঁদের জন্য সহায়ক! বাংলাদেশের সর্বোত্তম কারিগরি সুবিধা সেই অভিনয়ের থিয়েটারীয় সম্পন্নতা দিয়েছিল বলে তা সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে উপভোগ্য হতে পেরেছিল! রিটনের অসামান্য সেই বিষয়ানুগ নাট্যিক ছড়াটিকে মঞ্চে হাজির করার প্রায় কোনোই সুবিধা পরিবেশবাদী সংগঠন বেন দিতে পারেনি তাঁদের সামর্থ্যের অভাবে! প্রকৃতই সেটি ছিল লুৎফর রহমান রিটনের ব্যাতিক্রমী নাট্যিক ছড়ার নিবেদিতপ্রাণ একক অভিনয়! ছড়াটির প্রতিটি শব্দ ও ছন্দরূপ নির্ভুল রেখে ভাবের রসরূপ দেয়ার জন্য ওর নিভৃত সাধনা দেখেছি। মিলনায়তনে তার অভিনয় দেখে অনুভব করবার মানসিকতা সম্পন্ন ন্যূন্যসংখ্যক দর্শকও ছিল না বলে আমি এখনো বেদনা বোধ করি! একবার মাত্র মঞ্চে হাজির হবার জন্য বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের কারো এমন নিবেদনের খবর আমার অন্তত জানা নেই!
০৭.
২০১৯ সালের নিউইয়র্ক বইমেলায় নাট্যজন মমতাজউদদীন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বকুল ১৬ জুন উপস্থাপন করল তাঁরই রচিত প্রায় আধঘণ্টার একক সংলাপ অভিনয় ‘পার্বতীর কথা’! এটিও ওর একটি মাত্র প্রদর্শনীর জন্য অক্লান্ত সাধনা! এর জন্যও ও পায়নি থিয়েটারীয় কোনো দলগত সহযোগ!
২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ইংরেজি ভাষায় ‘ঢাকা ড্রামা’র দলগত থিয়েটারীয় পরিবেশনা ‘Stories of Jackson Heights’ অনুষ্ঠিত হলো কুইনস থিয়েটারে! গোলাম সারোয়ার হারুন ও গার্গী মুখোপাধ্যায়ের রচনা নির্দেশনায় মঞ্চস্থ এই থিয়েটারে ওর অভিনয়শিল্পী হিসেবে উপস্থিতির কোনো বিশেষ মাত্রা ছিল না! কিন্তু তারপরও মহড়ায় নিয়মিত ও সময় মতো উপস্থিত থাকা, দলগত ভূমিকার যথার্থ অংশ হবার জন্য সকলের সহযোগিতা করায় ওকে সব সময় সনিষ্ঠ দেখেছি! এমন একটি আন্তরিক থিয়েটারীয় প্রয়াসের অংশ হতে পেরে ওর চোখে লক্ষ্য করেছি আনন্দও!
২০২০ সালের ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি কুইনস থিয়েটারের মঞ্চে ‘ঢাকা ড্রামা’র হারুন-গার্গীয় যৌথতার সৃষ্টি অনুষ্ঠিত হলো ইংরেজি ভাষায় আরেকটি থিয়েটারীয় প্রয়াস ‘I Shakuntala’। এখানেও বকুলের অংশগ্রহণ ছিল মূলত দলগত! কিন্তু সম্পন্ন থিয়েটারীয় প্রয়াসের সঙ্গে থাকতে পেরে সব সময় আনন্দিত বোধ করতে দেখেছি ওকে!
০৮.
লং আইল্যান্ড ভিত্তিক সংগঠন শিল্পাঙ্গনের সঙ্গে অভিনয় ও আবৃত্তির নানা পরিবেশনায় অংশ নিয়েছে ও। এখানকার সংস্কৃতিকর্মী নজরুল ইসলামের রচনা ও নির্দেশনায় শিল্পাঙ্গন নাট্যমেলায় বকুল অভিনয় করেছে ‘শিখর’ নাটকে! মমতাজউদদীন আহমদের ‘আমি পার্বতী বলছি’ লংআইল্যান্ডেও অভিনয় করেছে! অভিনয় করেছে রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ এবং বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রথম পার্থ’ নাটকের অংশবিশেষও!
০৯.
‘I Shakuntala’ মঞ্চায়নের ৩ মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল কোভিড উনিশের অতিমারি! জীবনযাত্রা হয়ে পড়ল স্তব্ধ! গৃহবাস রূপ নিল গৃহবন্দিত্বে! সর্বব্যাপী হতাশাজনক পরিস্থিতিতেও বকুল ওর জীবনকে অপচয়ও হতে দেয়নি!
জানি, লেখক হতে চাওয়া একজন অপ্রতিষ্ঠিত মানুষের কাছে এটুকু অভিজ্ঞানেরও প্রত্যাশা বকুল করে না, কেবল ভালোবাসাটুকু ছাড়া!
সম্পূর্ণ বিরূপ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় বকুল উপস্থাপন করল ওর একক অভিনীত নাটক ফেরদৌস সাজেদীন রচিত ও নির্দেশত ‘শ্বাস’। এই নাটকের একটাই দৃশ্য! মঞ্চের একেবারে সামনে থেকে দেখলে যেমন হয় তেমন কম্পোজিশনে এবং কোনো কাট ছাড়া একটি মাত্র দৃশ্যে ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে পরিবেশিত হয় এটি! গোটা কোনো রকম কিউ ছাড়া একবারে ও ভ্রান্তিহীনভাবে সংলাপ বলে গিয়েছে বকুল! থিয়েটারীয় ব্লকিংও করেছে কোনো রকম কিউ ছাড়া! অর্থাৎ এই নাটকেরও ভিত্তি বকুলের অভিনয়সামর্থ্যই; আর এ অভিনয় সম্ভব হয়েছে ওর কঠোর সাধনার বলে! ওর অভিনয় নিয়মিত দেখে আমার অনেক দিন ধরেই মনে হয়েছে, দলের ওপর নির্ভর করায় ওর একক অভিনয়সামর্থ্য আজও ঠিকমতো পরীক্ষিত হয়নি!
১০.
মহামারির রূদ্ধগৃহ অবস্থা ওর কৈশোরোত্তীর্ণ কালের কাব্যানুরাগ উদ্দীপ্ত করল আবৃত্তিতে নিমগ্ন হতে! আগে যেখানে সময়ের সংকট ছিল এখন সেখানে সময়ের প্রাচুর্য! মঞ্চের বাস্তবতা নেই তো কী হয়েছে! কণ্ঠ তো মুক্তি পেতে পারে সামাজিক মাধ্যমে! মঞ্চ-রাজনীতি ও সময়-সংকটে যেখানে প্রিয় কাজ আবৃত্তি থেকে ওকে দূরে থাকতে হয়েছে এখন তা-ই হয়ে উঠেছে ওর সম্পন্ন ভুবন! এর অভিঘাতে পাশাপাশি চলেছে স্মৃতিকথা ও কবিতা রচনা!
১১.
বিগত ৩৫ বছরে ওর প্রকাশিত বইও সংখ্যায় উপেক্ষণীয় নয়! প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছে উপন্যাস ‘বৃক্ষছায়াহীন’, গল্পসংকলন ‘আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে’, ‘অর্কিডে বিষ না, ভালোবাসা’; ছোটদের উপন্যাস ‘রাজা ও রাখালের গল্প’, ছোটদের গল্প ‘ভূতের সঙ্গে আড়ি যাবো না তার বাড়ি’, ছোটদের গল্প-সংকলন ‘কুশলের লটিংপটিং’,’রাহুল ও ঝুমঝুমিওয়ালা’, ‘হলুদ প্রজাপতি ও সবুজ ঘাসফড়িং’ এবং ‘কোথা পেলি এত রং’!
১২.
অতিমারির বন্দিত্বে থেকে আকস্মিক কিছু কবিতা লিখেছে বকুল! প্রকৃত প্রকাশক অর্থ বিনিয়োগে আগ্রহী হলে এবং প্রকাশনায় আন্তরিক হলে হয়তো ২০২২-এর বইমেলায় কবিতার বইও এসে যেতে পারে! বেশ কিছু স্মৃতিকথাও লিখেছে বকুল এর মধ্যে! পাণ্ডুলিপি ও নাম চূড়ান্ত করা হয়নি এখনো!
১৩.
জন্মদিনে কিভাবে শুভেচ্ছা জানাব ভাবলছিলাম তা নিয়ে! পরে ভাবলাম ওর নিউইয়র্কবাসের নাট্যচর্চার একটা পঞ্জি তৈরি করে ওকে সেটা উপহার দেই! আর কী দিতে পারি ওকে; নিউইয়র্কের বাজার থেকে কেনা সুদৃশ্য ঘ্রাণহীন ফুল বড়জোর! জানি, লেখক হতে চাওয়া একজন অপ্রতিষ্ঠিত মানুষের কাছে এটুকু অভিজ্ঞানেরও প্রত্যাশা বকুল করে না, কেবল ভালোবাসাটুকু ছাড়া!
এই বিভাগের আরও লেখা: