মায়াবী
খিলখল করছে আমার মেগালোম্যানিয়া;
শব্দকে ঢেকে দেওয়া শব্দের ফ্লাডলাইট-
. বামনের চাঁদ ছোঁয়ার ডাকটিকিট!
ফাদার জাভেন বলছিলেন, আজকাল ফানুসের পোস্টারে
প্রশ্ন ঢুকে পড়ছে প্রশ্নের গভীরে; আর
হাওয়াদের উপকথায় হারিয়ে যাচ্ছে
. প্রত্নতাত্ত্বিক মডিউলাস।
যেমন জবর জ্যোৎস্নায় আয়নার পাঁজর খুলে
সমুদ্রপাখি নেমে আসে,
ভোরের তারায় বেজে ওঠে ঘামফুল, হ্যালুসিনেশন!
কালপুরুষের কপালের তারাটি
. আসলে ভালোবাসার মিথ–
. মায়াবী কিংখাব
মায়া
চাঁদসহ ভেসে যাচ্ছে জল; আর
সাঁতারে ডুবের ছন্দ; জলের আওয়াজ। খলবল ঢেউ,
অতল ছুঁয়ে থাকা কথার সংবিৎ-
ভেসে যাচ্ছে ত্রিবেণীর জামতলা; খুঁজে না পাওয়া গানের গন্ধ,
শ্যামচাঁদ লেন-এর সুধাময় আলো নিয়ে
. নীল ও নিলাম!
তামার মুদ্রার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নের মধ্যে
এখন মুঠোভরতি ছুটি; দ্যাখো,
ওখানেই আমাদের খড়কুটো, চাঁদ ওঠা আলো-
এসো, পাশে বোসো, শ্বাস নাও–
নবমীর জানলায় প্রকাশ্য পয়গম নিয়ে কথা হোক–
খোশহাল খবরের কথা শোনো–আয়নায় মুখ রাখো;
চোখ থেকে মুছে ফেলো বিষণ্ণ বিয়োগের দাগ,
লেখো শঙ্খবেলা, লেখো কবিতায় জলের ঝিনুক!
মুদ্রা
শেষ পঙ্ক্তির পরেও
যতিচিহ্নের সংকেত; শ্বাস-প্রশ্বাস। বাঁশি
অথচ দ্যাখো, হর্ষ লেখার
বর্ণ সরে গেলে অক্ষরে অক্ষরে
আছড়ে পরে বেখুদি; আমি
সার্কাসে ভালুক নাচের মুদ্রা নিয়ে খেলতে খেলতে
ছড়িয়ে পড়ি জলের নিয়মে
নতুন কাগজে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে বৃষ্টি, কালিম্পঙে রোদ-১২॥ উদয় হাকিম