মুখোশের আড়ালে
টুকরো টুকরো কাঁচের বরফ গাঁথছে দেয়াল শহরজুড়ে
গহীন ঘরের উতল ঢেউয়ে ভাঙছে শপথ যাচ্ছে দূরে,
হঠাৎ কেমন বিবাগী হাওয়া উড়িয়ে নেওয়া আভাসে মাতে
অচিন পাখির শরীর ছোঁয়ার নেশায় বিভোর দুপুর রাতে।
বুকের ভেতর পাথর চাপার ভনিতা করার কারণ খোঁজে
আড়াল হাজার করতে গেলেও সত্য প্রকাশ হয় যে নিজে
আগুন যতটা সহজ জ্বালানো নেভানো ততটা কঠিন হয়
কখনো কখনো হাসির পেছনে দগ্ধ-ঘায়ের গন্ধ রয়।
শহুরে যুবতীর চোখে
যুবক তোমার সবুজ গাঁয়ের শীতল মাটির ঘ্রাণের টানে
ঘামের শহর ছাড়তে আমার মনের ভেতর শক্তি আনে
তোমার গাঁয়ের পথটি কেমন বেঁকিয়ে তাকায় নদীর জলে
পিচের শরীরে চাকার বসতি ব্যস্ত শহর ধোঁয়া ‘গিলে’
পাখির গানের সুরের দোলায় ছায়ায় ঘুমায় তোমার শিশু
কাকের ধমকে কোমল হৃদয় কান্না ভুলেই ছুটছে পিছু
তোমার গোলার শুকনো ধানের স্বপ্নে বিভোর সবার চোখ
লোভের হিসাব কষতে কষতে বিবাদ ঘটায় শহুরে লোক।
পথের শেষে দাঁড়িয়ে
পথিক এবার থামাও তোমার উদ্দেশ্যহীন চলার গতি
তোমার বাঁধনে বেঁধেছি আমার কান্না হাসির সব নিয়তি
দূয়ারে দাঁড়িয়ে ডেকেছ বলেই জায়গা নিয়েছ গহীন ঘরে
পাথরবোঝাই কষ্টের ঝুলি বইবো এখন কেমন করে!
পথের টানেই ছোটার নেশায় বুঁদ হয়ে রও যদি-বা তুমি
ঘরের চালায় বন্দি পাখির ঝাপ্টানো ডানা রক্ত চুমি
অভিমানে যদি সরে যাই দূরে তখন হয়তো খুঁজবে জানি
পথের শেষেই তোমার ঠিকানা সহজ স্বীকারে আমিও মানি।