জিলাপিপ্যাঁচ
এই যে আড়াইপ্যাঁচের ঘোড়দৌড়ে বর্ষা ভিজলো না
সন্ধ্যাকালে বয়ঃসন্ধি ফোঁড়ার ব্যথায়
ধুঁক-ধুঁক জ্বর
চিবুকে চাবুক বোলায়
তাহার বাশবালিশের খুশবো ঝড় তুলে
তাহাদের হয়ে যায়
আশার দোষে বেওয়ারিশ ভাইরাস
শুক্রাণু ডুবু ডুবু
আমাদের শরম লাগে
হেমলকের কার্যকর ভূমিকায়
চাদরে এলার্জি আছে বলেই
উলঙ্গ নদী সার্কাসের টিকিট কাউন্টারে
এঁকেবেঁকে উৎরায়
আন্ধা তড়িঘড়ি অস্বীকার করে
স্থূল চুলের সূত্র
তোমার আর দণ্ডের ভাঁজ দেখা হলো না
ঘুমিয়ে পড়ো কোকিল
জিলাপিরা সব অন্বেষণে মগ্ন
অপোষ্য উত্তর
প্রশ্নপত্রের বাম পাশে লোভনীয় ফল
লালায়িত জিহবা শুকিয়ে যাচ্ছে
তবু টুকেটুকে টগোরের ক্ষুধায়
দূরত্বের দুরুদুরু সাইরেন
আয়নামতির শহর খুলে
এমন নীল শরীরে মেঘের আঁচল বেমানান
বেগানা সুরমার সকাল কি মানে সে বাণী?
ঠোঁটের আয়ুকাল শৃঙ্খলার সাওয়ারে
সংযম করে সংযোগহীন ঋতুতে
এমন তেমন ঢঙে
অঘোষিত সংক্রান্তি থেকে যায়
ঠাকুর বর্জিত ঠোঙায়
এক ছটাক আলোর ভরসায়
অপোষ্য পেয়ারা পোয়াতি হয়
রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই
জাহাজডুবিতে একঝাঁক জলের মৃত্যু
জাগো অভ্র
উত্তরপত্র উদঘাটিত হয়েছে
তেমন তেমন সুরে বাত্তিজ্বলাও
উত্তরহীন উত্তরের
অসহায় শপথ
ঘায়ে ঘায়ে একদিন প্রসন্ন হবে ক্ষত
ক্ষয়ে যাওয়া ধ্রুবতারার সাথে শেফালির শুভদৃষ্টি
ঘুমের ওপারেই বয়ে যাবে
দেবীচোখে অঙ্কিত হবে নাগনেশা
আমাদের স্নিগ্ধতাগুলো শুদ্ধিকরণ হয় না
সুবর্ণের ছোঁয়ায়
সকালগুলো হেরে যায় ডেফিনেশনহীন সুপথের শপথে
কোকিলের কামে অসহায় বৃষ্টিবিন্দু
স্বাচ্ছন্দ্যের স্রোতে ভেসে যায়
অমীমাংসিত বসন্ত
রাতরাঙা শাড়ির দাবিতে করে অন্বেষণ
মিলে যায় শিমুলের ছায়ায়
আমরা বর্ষার কাছেই হই নতজানু
অদৃশ্য ক্ষত খেয়ে ফেলে কাশফুল।