তপন বন্দ্যোপাধ্যায়—পশ্চিমবঙ্গের লেখক। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, উপন্যাসসহ সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর অবাধ যাতায়াত। জন্ম বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কলরোয়া থানায়। তবে জন্মের দুই মাস আট দিন পর পরিবারের সঙ্গে তাঁকে চলে যেতে হয় পশ্চিমবঙ্গে। সেখানকার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া গ্রামে কেটেছে তাঁর শৈশব, কৈশোর। চাকরির সুবাদের বাস করতে হয় কলকাতা শহরে। সম্প্রতি তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন তরুণ লেখক অঞ্জন আচার্য।
অঞ্জন: আপনার জন্ম তো বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। আপনার বেড়ে ওঠা ও দেশান্তরিত হওয়ার গল্প শুনতে চাই।
তপন: আমার জন্ম সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। জন্মের দুই মাস আটদিন পর ভারত স্বাধীন হয়। তখন আমর ঠাকুর্দা তিনটি গরুর গাড়িতে বিছানা-বালিশসহ ঘরের কিছু প্রয়োজনীয় আসবাব নিয়ে প্রায় কর্পদকশূন্য অবস্থায় রওয়ানা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে। আরও দুটি উদ্বাস্তু আত্মীয়-পরিবারের সঙ্গে গোড়াপত্তন গড়েছিলেন ইছমতি নদীর তীরে, একটি পতিত জমিতে। পৃথিবীকে চিনতে শেখার পর দেখেছিলাম, একটি ছ-চালা ঘরে আমাদের বসবাস। গরান কাঠির বেড়ার ওপর মাটি দিয়ে লেপা, চালে হোগলা পাতা। বসির হাট মহকুমার সেই বাদুড়িয়া গ্রামে কেটেছে আমার শৈশব-কৈশোর স্কুল জীবন। স্কুলের পড়া শেষে কলেজে পড়তে আমার কলকাতা আসা। বাদুড়িয়ার সেই বসতবাড়িতে সাত বছর পর আবার সাত মাসের জন্য স্কুল টিচারি করতে আবার যাওয়া। সাত মাসের শিক্ষক জীবন শেষে আবার কলকাতায় আসি ব্যাংকের চাকরি নিয়ে।
অঞ্জন: আপনার লেখালেখির শুরু কিভাবে, একটু বলবেন?
তপন: আকস্মিক সেই লেখালেখির শুরু। একদিন দুপুরে ঘনঘোর বৃষ্টি হচ্ছে। আমি ক্লাস টু-য়ের ছাত্র। বিছানায় বসে ব্যস্ত হোমওয়ার্ক নিয়ে। বয়স সিক্স প্লাস। হঠাৎ কী জানি কী ভেবে হোমওয়ার্কে ইতি টেনে লিখে ফেলল একটি চার লাইনের ছড়া—
বৃষ্টি পড়ে ঝমঝম
চলল গাড়ি টমটম
পথে উঠল একজন মন্ত্রী
সঙ্গে যতেক যন্ত্রী।
যন্ত্র শব্দটা এখানে একদম বেমানান। কিন্তু মন্ত্রীর সঙ্গে কী শব্দ মেলানো যায়, তা আর ভেবে উঠতে পারিনি সেই বয়সে। বাবা তখন মা ও বোনদের নিয়ে অনেক দূরে। তাঁর চাকরি স্থলে থাকতেন। পাঁচ-ছ মাস পরপর দেখা হতো আমার সঙ্গে। কখনো বছরও ঘুরে যেত। আমি বাদুড়িয়া থাকতাম, ঠাকুর্দা আর ঠাকুরমা আর কাকাদের সঙ্গে। পনের কুড়িটি ছড়া লেখার পর আমি যখন ভাবছি দিব্যি কবি হয়ে উঠেছি, সে সময় একদিন বাবা এলেন আমার খোঁজখবর নিতে। লেখাপড়ায় ফাকি দিয়ে ছড়া লিখছি দেখে অবশ্যই বকাঝকা করেননি। পরের বার এসে একটি ছোট্ট ডায়েরি দিয়ে গিয়েছেন, যেন আমি লেখাপড়ার খাতায় ছড়া না-লিখে ডায়েরিতে লিখি। সেই থেকে শুরু। এরপর ছড়া লিখে ডায়েরি কত যে ভরিয়েছি, তা আজ আর মনে নেই। একসময় হারিয়েও গিয়েছে সেই সব লেখা।
অঞ্জন: সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জন্মালো কিভাবে, কোথায় পেলেন অনুপ্রেরণা?
তপন: বাদুড়িয়াগ্রামে কোনো লাইব্রেরিও ছিল না। অথচ আমার বইপড়ার দুরন্ত খিদে। কোথা থেকে যেন বই ঠিকই জোগাড় হয়ে যেত। তবে যত বই পড়তে চাইতাম, সব কি আর পেতাম সেই গাঁ দেশে! যা পড়তে চাইতাম, তার দশ শতাংশও সুযোগ ছিল না। কিন্তু তবু যা পড়েছি, প্রচুর।
অঞ্জন: কোন কোন লেখক আপনার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন? বা এখনো করছেন?
তপন: সেই শৈশবে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কাকেই বা ভালো করে চিনতাম? পাঠ্যপুস্তক থেকে যা কিছু প্রেরণা। বাংলা পাঠ্যপুস্তকে কত কত কবির কবিতা পড়তাম, তাঁদের লেখা পড়ে ভাবতাম, আমি কি এঁদের মতো লিখতে পারি না! পরে বিষ্ণু দে আর সুকান্ত ভট্টাচার্যের দুটি বই উপহার পেয়ে তাঁদের মতো কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম। এর কিছু আগে প্রেমেন্দ্র মিত্র সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন, তা পড়েছিলাম খবরের কাগজে। তখন তাঁর কিছু বই সংগ্রহ করে, পড়ে তাঁর ভক্ত হয়ে পড়ি আমি। তখন বঙ্কিম চন্দ্র আর শরৎ চন্দ্র পড়ার খুব রেওয়াজ ছিল বাড়ির মেয়ে-বউদের মধ্যে। এখনকার স্নাতন তরুণীরা বঙ্কিম পড়তে গিয়ে হোঁচট খায়, কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীপর্যন্ত পড়ুয়া ঠাকুরমা, অনায়াসে বঙ্কিম পড়ে শোনাতেন আমার মা-কাকিমাদের। পরবর্তী সময়ে তারাশংকর আর বিভূতিভূষণ পড়েছি গভীর আগ্রহ নিয়ে। প্রিয় গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্র। জীবনানন্দ পড়েছি কলেজে উঠেই। এখন বেশি পড়ি বিদেশি গল্প-উপন্যাস। টলস্টয় আর মার্কেজ আমার খুব প্রিয় লেখক। সবচেয়ে বেশি প্রেরণা পেয়েছি টলস্টয়ের লেখা থেকে।
অঞ্জন: দীর্ঘদিন ধরে আপনি লিখছেন। গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-কবিতা-ভ্রমণ-শিশুসাহিত্য—নানা বিষয়ে লিখে আসছেন। আপনার লেখালেখির রসদ কোথা থেকে পেয়েছেন? এসব লেখায় ব্যক্তি আপনি কতখানি উপস্থিত? কোন লেখায় আপনার উপস্থিতি বেশি?
তপন: কমবেশি সব লেখাতেই থাকে আমার উপস্থিতি। আমার মনে হয়, কোনো লেখায় লেখক নিজে উপস্থিত না থাকলে, সে লেখা কৃত্রিম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন ঊনিশ শতকের পটভূমিতে লেখা আমার দীর্ঘ উপন্যাস ‘নদী মাটি অরণ্য’র রামচন্দ্র যখন পিতৃসত্য পালনের জন্য বনবাসে, মানে সুন্দর বনে এসে বড় বড় গাছ কাটছে কুড়ুল দিয়ে, আর রক্তাক্ত হচ্ছে দুই হাত, তখন আমার নিজের হাতও যেন রক্তাক্ত হচ্ছে। লিখতে লিখতে আমিও হাঁপাচ্ছিলাম, মনে পড়ছে। জঙ্গলের জীবনের একটি খুনের দৃশ্য লিখছিলাম রাত জেগে। ঘুমুতে যাওয়ার পর মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ভোর বেলায় ডাক্তার ডাকতে হয়েছিলা, সেকি বিপত্তি!
আবার ‘মালবকৌশিক’ লেখার সময় সঙ্গীতজ্ঞ বকসু গাইছে ধ্রুপদ সঙ্গীত। আমিও গাইতে থাকতাম মনে মনে। আর ‘দ্বৈরথ’এ আমি নিজেই একটা চরিত্র। ‘লাল ফিতে’, ‘একটি জরুরি ফাইল’, ‘খণ্ডবিখণ্ড’—এরকম আমার অনেক উপন্যাসে আমি নিজে উপস্থিত। ‘শঙ্খচিলের ডানা’ দীর্ঘ একটি ট্রিলজি উপন্যাস হলেও মূলত আমার জীবনচরিত। লেখালেখির রসদ সংগ্রহ করি, নিজের জীবন-যাপন থেকে। এখন মনে হয়, একজন লেখকের যেকোনো অভিজ্ঞতাই লেখালেখির উপকরণ হয়ে উঠতে পারে। আমার জীবনের অনেক অধ্যায়। বাদুড়িয়া থেকে কলকাতা। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ, সেখান থেকে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর আবার কলকাতা। ভিন্ন ভিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হয়েছে গ্রামবাংলার নানা পটভূমিতে। একটির সঙ্গে আরেকটি কোনো মিল নেই। কলকাতায় আসার পরও কিছু কিছু দপ্তরে কাজ করেছি। প্রতিটি দপ্তরের পটভূমি ভিন্ন, সমস্যা ভিন্ন, মানুষ ভিন্ন, মানুষের ইতিহাস ভিন্ন। ঠিক মতো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি সব অভিজ্ঞতা।
অঞ্জন: ছাপার অক্ষরে কবে আপনার লেখা প্রকাশিত হলো? শুরুটা জানতে চাই।
তপন: নিজের নামে প্রথম লেখা আশুতোষ কলেজ ম্যাগাজিনে ‘আমি’ নামে একটি ছোট কবিতা। তখন থার্ড ইয়ারে ম্যাথমেটিক্স অনার্স পড়ি। পরের বছর ভগীরথ মিশ্রের সম্পাদনায় আমার ডাকে পাঠানো একটি কবিতা ‘লজ্জাবতীর মেয়ে’ ছাপা হওয়ার পর অশ্লীলতার দায়ে সম্পাদককে হেনস্তা করেছিল ছাত্ররা। কবিকে পায়নি, কারণ কবি তখন প্রাক্তন ছাত্র, বিশ্বাবিদ্যালয়ে পড়ছে। ‘আমি’ ছাপা হওয়ার আগে, আমার বেশ কিছু কবিতা বসির হাট কলেজ ম্যাগাজিনে সেখানকার ছাত্রদের নামে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গল্প আমার ‘গর্জন সত্তর’ বইয়ে বিশদে লেখা আছে। সে-ই এক মজাদার গল্প।
অঞ্জন: পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান লেখকদের মধ্যে কার কার লেখা আপনার পছন্দ?
তপন: এর উত্তর, এতটুকু পরিসরে রেখা মুশকিল। একটু ঝুঁকিরও। কারণ, এখানে এত এত তরুণ ভালো লেখা লিখছে, তাদের নাম লিখতে গিয়ে একজনের নাম বাদ পড়ে গেলে বিবাদ অবশ্যাম্ভাবী।
অঞ্জন: বাংলাদেশের উপন্যাস-গল্প-কবিতা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? কার কার লেখা ভালো লাগে?
তপন: সেই একই উত্তর। তবে বাংলাদেশে খুব ভালো লেখা হচ্ছে, তার প্রমাণ পাচ্ছি প্রতিদিন। উপন্যাস-গল্প-কবিতা—সবই। বাংলাদেশের লেখকেরা ভাষা নিয়ে, বিষয় নিয়ে, ভঙ্গি নিয়ে, পটভূমি নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, দেখে আমি বিস্মিত।
অঞ্জন: পশ্চিমবঙ্গের যে পরিমাণ বই বাংলাদেশে পাওয়া যায়, সে তুলনায় বাংলাদেশের বই পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায় না। এতে বাংলাদেশের অনেক শক্তিমান লেখকের বইও পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের কাছে পৌঁছয় না। অনেক পাঠক বাংলাদেশের বড়বড় লেখকদের নামই শোনেননি। এই ব্যর্থতার হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
তপন: বাংদেশের লেখকদের বই বাংলাদেশেই প্রচুর বিক্রি হয়—এই তথ্য পৌঁছয় আমাদের কাছে। কিন্তু সেই লেখকদের বই পশ্চিমবঙ্গে বিক্রি হয় না, এতথ্যও সত্য। কারণ বলতে পারব না। হূমায়ুন আহমেদের লেখা একসময় বহুল প্রচারিত শারদীয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু তেমন জনপ্রিয়তা পাননি—বিষয়টি আমাদের অবাক করেছিল। তবে, বাংলাদেশের বই এখানে পাওয়া যায় না, কথাটি বোধ হয় ঠিক নয়। কলেজ স্ট্রিটের কয়েজন বইবিক্রেতা নিয়মিত বাংলাদেশের লেখকদের বই বিক্রি করেন। বইবাজার বা বইমেলায়ও পাওয়া যায় ওপার বাংলার লেখা। ইদানীং ইমদাদুল হক মিলনের বইও প্রকাশিত হচ্ছে। তবে, কেমন বিক্রি হচ্ছে বলতে পারবেন, প্রকাশকরা। ইমদাদুল হক মিলনের প্রচুর বন্ধু কলকাতায়। এখানকার বন্ধুদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় তিনি।
অঞ্জন: অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের অনেক নবীন-প্রবীণ লেখকের ভালো ভালো লেখা শারদীয়া সংখ্যা দূরে থাক, সাধারণ সংখ্যায়ও প্রকাশের জন্য মনোনীত হয় না। অথচ বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় সাধারণ সংখ্যা তো বটেই, ঈদসংখ্যাগুলোয়ও পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের প্রচুর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এই বৈষম্যের কারণ কী? আপনার কী মনে হয়? এটা বাণিজ্যিক না রাজনৈতিক?
তপন: এই অভিযোগ কি সত্যি? কলকাতার অনেক লিটলম্যাগাজিনে বাংলাদেশের কবিতার জন্য আলাদা পাতা বরাদ্দ রাখতে দেখেছি। শ্যামলকান্তি দাশ ও কাজল চক্রবর্তীর সঙ্গে বাংলাদেশের কবিদের খুবই যোগাযোগ। তাদের ‘কবি সম্মেলন’ ও ‘সাংস্কৃতিকখবর’-এ বাংলাদেশের প্রচুর কবিতা ছাপা হতে দেখেছি। আরও অনেক লিটল ম্যাগাজিনেও ‘বাংলাদেশের কবিতা’ শিরোনামে ছাপা হয়। আমার ধারণা এখানকার লিটলম্যাগাজিন সম্পাদকরা খুবই উদারপন্থী। তারা বাংলাদেশের কবিতা পেলে নিশ্চয় ছাপবে। সম্ভবত বাংলাদেশের অনেক কবিই এখানকার লিটলম্যাগাজিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাই এহেন অভিযোগ। আমি কোনো কাগজের সম্পাদক নই, তাই পুরো ছবিটা বলতে পারলাম না। তবে, বাণিজ্যিক পত্রিকার শারদীয়াসংখ্যাগুলোয় আগে বাংলাদেশের বহু কবির কবিতা ছাপা হতে দেখেছি। ইদানীং কিন্তু কম। কারণটা ঠিক বলতে পারব না। মে-জুন নাগাদ বাণিজ্যিক পত্রিকায় কিছু কবিতা ডাকে পাঠিয়ে দেখা যেতে পারে ছাপা হচ্ছে কি না।
অঞ্জন: দুই বাংলার সাহিত্যের সম্মিন কিভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? এক্ষেত্রে লিটলম্যাগাজিন অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আপনি নিজেও বাণিজ্যিক কাগজগুলোর পাশাপাশি লিটলম্যাগে লেখেন, এরপরও…
তপন: দুই বাংলার সাহিত্য সম্মিলনে আমাকে যদি কোনো ভূমিকা পালন করতে বলা হয়, আমি রাজি। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের একজন কবি বা লেখকের সঙ্গে দেখা হলে আমার মনে হয়, তিনি আমার অতি প্রিয়জন। বাংলাদেশে তিনবার গিয়ে দেখেছি, সেখানকার মানুষ কতটা অতিথিবৎসল। নিয়মিত দুই বাংলার কবি-লেখকদের মধ্যে মেশামিশি, আলোচনা-ই পারে এই মহামিলনের সফল রূপায়ন।
অঞ্জন: সাহিত্যের প্রসারে ব্লগ-অনলাইন, ওয়েবম্যাগগুলো কতটা ভূমিকা রাখে বলে আপনি মনে করেন?
তপন: ব্লগ-অনলাইন-ওয়েবের পাঠক-সংখ্যা এখন অনেক সীমিত। তবে, আস্তে আস্তে পাঠক বাড়ছে। হয়তো কালক্রমে এ মাধ্যমের পাঠকই হবে বেশি। আমি সব মাধ্যম পছন্দ করি বলে, এ ধরনের মাধ্যমেও লেখা পাঠাই।