ক.
প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব রঙের মতো বহুমাত্রিক
কিছুটা ক্লান্ত, আংশিক পদ্য
বিসর্গঃ’র মতো বিষণ্ন যুগল চোখ
খণ্ডৎ’র মতো বাঁকা হয়ে বসে আছে চেয়ারে!
পাগলির মতো মাথায় ছিল গাঁদাফুলের চন্দ্রবিন্দু ঁ
টেবিলে হুইস্কির গ্লাস,
অনুংস্বরং‘এর মতো নারী-পুরুষের যৌথভাব।
খ.
স্বরবর্ণের সবারই
হ্রস্ব-ই-কার (ি), দীর্ঘ-ঈ-কার(ী),
উ-কার (ু), ঊ-কার (ূ), ঋ-কার (ৃ),
এ-কার (ে), ঐ-কার (ৈ),
ও-কার (ো), ঔ-কার (ৌ) কার আছে।
শুধু ‘অ’ নিরাকার, তার কোন কার নেই।
অ অক্ষরটা আমার মতোই একা
এবং নিসঃঙ্গ।
নিসঃঙ্গতা ছিল বিলুপ্ত ৯(লি) বর্ণেও।
গ.
বর্ণমালার বদলে চারিদিকে
যফল, সফলা, বফলা, মফলা, নফলা, রফলা।
রেফ (্) কি পুরুষ; ঊর্ধ্বে বসবাস
রিকার(ৃ)কি নারী; নিচে আসন!
ঘ.
দু’টি সন্তানই যথেষ্ট।
এত ছ, ষ, শ, স সমস্যা; সমস্যায় থাকি
ঋ ৃ র রহস্য; রহস্যে ডুবে রই
য, ঝ, জ জটিল; জটিলতার যন্ত্রণায় আটকে থাকি।
ছেলে হোক, মেয়ে হোক
দ কিংবা ধ, ব বা ভ;
মূর্ধন্য-ণ অথবা দন্ত্য-ন; হ্রস্ব-উ অথবা দীর্ঘ-ঊ
একটিই এনাফ!