শুধু দীর্ঘশ্বাস হেঁটে যায়
মৃত্যু এসে নিয়ে গেলো আকাশের খুব কাছে
গৌরবর্ণ এ দেহটা নীল নীল হয়ে গেলো
কান্না জলে ডুব দিলো চিরচেনা মুখগুলো
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে আকাশের ভালোবাসা।
কারও কারও আহাজারি আকাশের ছাদ ছুঁলো
ডানা মেলে ওড়ে গেলো একঝাঁক বুনোহাস
কান্না দাগ শুষে নিলো খরাফাটা এই মাটি
কিছু কালো আঁধারেরা ঘরে এসে খিল দিলো।
কোনো এক ঘাস ফুল টুপ করে উঠে আসে
নিথর এ দেহটাকে ছুঁতে চায় ভালোবেসে
টিয়ে পাখি শিস দিয়ে কী বলতে চেয়েছিল
সুরমার আর্তনাদ কানে ঠিক বেজেছিল।
কয় দিন সুনসান অতপর উবে যায় কান্নারা
হাসি খুশি উড়ে উড়ে মনে জুড়ে রূপ নেয় সনাতনী
কেবলই গোলাপেরা মৌন ধ্যানে নিরবে যে কাঁদে
আকাশের তারা গুলো মমতার জালে শুধু বাঁধে।
ফ্রেমে সাঁটা ধুলোমাখা ছবিখানা ঝুলে থাকে দেয়ালের গায়ে
প্রজন্মের হাত ধরে দীর্ঘশ্বাস হেঁটে যায় মৌন পায়ে পায়ে।
প্রেমের ফুটনোট
০১.
খুব নীরবে আমার আকাশ
একলা কাঁদে দূরে
তোমার শহরে সূর্য ওঠে
অট্টালিকা ফুঁড়ে।
০২.
ঝরা পাতার শোকের বিষাদ
বুকের মাঝে মেখে
ভালোবাসাও রঙ বদলায়
পাতার মৃত্যু দেখে।
০৩.
নদীর ঢেউয়ে কানটি পেতে
সাগর কথা বলে
ভালোবাসার দহনজ্বালা
জ্বলছে জলের তলে।
নিশিপদ্ম
জন্মান্ধ আমি!
দার্ঢ্য চোখে পূর্ণিমা দেখবো বলে
অমাবস্যায় ডুবে আছি;
আজ অবধি।
কালোর ভেতরেও আলো থাকে
আলোর ভেতরে কালো,
অনার্য হৃদয়ে ফুলের শোভা
মুগ্ধতা ছড়িয়েছে কেবলই
ওর সুবাস আলো ছড়ায়নি আঁধারে।
নিশিপদ্ম
জোনাকপোকার পাখা সেঁটে;
রাতের গায়ে আলোর গন্ধ শুঁকে শুঁকে
মাকড়সার জাল বুনে