এক্কা-দোক্কা
খুব কাছেই ছিল যা—তা কিছু আজ নিছক বালিয়াড়ি তট মনে হয়। কেবল বয়ে চলা ভায়োলেন্স শব্দের ফানুস। রঙিন রোদচশমায় কৃষ্ণচূড়াও যেমন অন্যরূপে…ডুবসাঁতারে মত্ত সাঁতারুমাছ বাতাসে ওড়ে স্বপ্নের দোলাচলে নিরুদ্বেগ।
ঘাসের ওপর পড়ে থাকা শিশিরের অতল খোঁজা, মুখোশের পোশাক বা ডামি বদল দেখতে দেখতে ক্লান্ত নদীর অস্তে ফেরা কেবলই ফিরে যাওয়া। ইন্দ্রিয়াতীত র্যাঁবো তো একজনই!
সাইড ইফেক্ট
ঘাসের জাজিমে রক্তের ঘ্রাণ
নেমে আসে ক্রোধের মহড়ায়
শীতের ঘোলা জলে
ছোপ ছোপ নীলচে ছোবলে
পাতা কুড়ানোর খেলা শেষে
কোথায় যাবে পথিক
শরতের শিউলি জানে কার্পাস আকাশের দিন
নিঃসঙ্গতাও যেমন অলস দুপুরে
বাঁশি সাধে বিহ্বল
আর আমাদের প্রিয় কবিতারাও অঝোরে কাঁদে নিভৃতে!
রাতের ক্লাব-বার গুলো নেমে আসে
অন্তর্জালের পর্দায়
বিহান না দেখে দেখে যাপন হয়
তারুণ্যের অবকাশ
সবুজ বৃক্ষরাজী নীল ফড়িং
বিমূর্ত ধ্বংসস্তূপ!
বিগ্রহ
কেটে যায় ঘোর
ভরা ভাদরে বেঁচে থাকে
মরা নদীর লহর
রাত দুপুরের পরাণ গাঁথা
প্রত্যুষের দহন
ভেসে যায় ডুবসাঁতারে পোশাকী ঘ্রাণ
তবু স্পর্শ গুলো বলে যায়
আহারে পরাণ
সিলিং ছোঁওয়া দৃষ্টি যেন
নিমফল সবুজ
লোনাঘরে ঘাপটি মেরে বসে
জলরঙ অবুঝ
উপোসী হৃদয় জুড়ে মরুভূমি মাঠ
ছিঁড়ে যায় বিদীর্ণ করে চিরভ্যস্ত ঘাট!