যার জন্মক্ষণে উঠেছিল খুশির জোয়ার
প্রত্যন্ত গ্রামে, এক কেরানি-ঘরে
রাজকন্যা এসেছে ঘর আলো করে
শঙ্খ ওউলু ধ্বনিতে মুখর ঘর-উঠোন -দরবার
সবার স্নেহে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা রাজকন্যা
একদিন হারিয়ে গেল অন্ধকার গলিকোনে
বাবা চাকরি খুইয়ে ঘরে বসে
মেয়েটি কি করে, কেউ জানে না, তবে সংসার চালায়
বাবার ঔষধ, ভাইয়ের পড়ার খরচ, সব সব
কেউ চাকরি দেয়নি তাকে
কেউ দয়া করেনি,
এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে দয়া করে না
দয়া ভিক্ষে করেনি রাজকন্যা
ও ব্যবসা করে,
ওর সম্বল হাড় জিরজিরে শরীর
তাই বিকিকিনি করে সারারাত
ভোরের ট্রেনে বাড়ি ফেরে, লাল চোখ নিয়ে
ঘৃনায় গা গুলিয়ে ওঠে
বালতি বালতি জলে ধুয়ে ফেলে পাপ
রাজকন্যার পৃথিবী বদলে গেছে
আজ আর পাড়ার কেউ কোনো কিছুতেই ডাকে না
তবু যেন কিচ্ছুটি হয়নি তার
হাসি হাসি মুখ নিয়ে, ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে
মন্তব্য