অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেচাল
চায়ের কাপে সময় খেতে খেতে, কথা হচ্ছিল আমাদের।
আলোচ্য: গতদিনের ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট
কিভাবে ফিনকি দিয়ে রঙধনুর একাংশ আকাশে চিত্রায়িত
হয়েছিলো, সেই সব গপ্পো-সমৃদ্ধ আদ্যপান্ত!
চুরুটের শব্দে শব্দে একজন বলেছিল, লোনলিনেস! লোনলিনেস!
সংসার-স্ট্রাগলে টিকতে পারে নাই—ওয়ার্থলেস ফেলো!
‘ইঞ্জিনের মরন শব্দে, এই লোকটার মরা দেহি নাই, শুনিও নাই।
পরে শোনলাম, হইহই! রইরই! সব দৌড়াইতেছে—
(মাইনসের দুকখু দেইখতি, মানসের কত উৎসাহ!)’
ঘোন-রোদ ঝরছিল সেই সময়টায়—আঁষটে-গন্ধ ভেসে
আসছিলো মাছ আড়ৎ থেকে—গুমরে ওঠার আনন্দ
একটা ভিখারির চোখের জলে জমে উঠছিল, বাকি সব
ভদ্দরনোকেরা ‘হা’ করে তাকিয়ে; দেখছে, ডালিমের কোয়া থেকে
রসটুকু কী করে মাটিতে মিশে যায়…
স্ট্রাগল সংক্রান্ত জীবনপাঠ
জীবন হলো সলিড তেজপাতা—মানবজনমের আগের পর্ব
পাতার পূর্ব অবস্থা (কচি লকলকে রক্তিম আমিষসমেত)!
আর মাতৃগর্ভ থেকে পৃথিবীতে আসাই প্রথম মৃত্যু—
এই মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এক স্ট্রাগল; মরার পরে আরেক!
মরার পরে মসলা বানিয়ে; এখানে ওখানে বসিয়ে, কষিয়ে নেয়—
কোষানোর পরও নাকি আবার কষানো হয়…
রন্ধনে—রন্ধনে—রন্ধনে; তেজপাতা, আবার অর্থগত ব্যবহৃত তেজপাতাই হয়ে যায়!
স্বপ্ন, ভেঙে যায়ি
এক.
একটা জোনাকের সাধ হলো উড়ে উঠবে চাঁদে। দেখবে চাঁদের যত
আছে আভা আর বিভা। তারপর জোনাক এতো এতো স্বপ্ন সঙ্গে নিয়ে উড়লো আকাশে—
উড়তে উড়তে ভোর হলো। ফিঙে দেখে খেয়ে নিলো।
দুই.
একবার হাওড়ের এক কাঁকড়ার ইচ্ছে হলো যাবে সমুদ্দুর।
দিনে যেহেতু হিংস্র মানুষের তীব্র উপদ্রব। তাই চাইলো রাতে বেরবে।
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে কাঁকড়া বেরলো রাতে, যাবে সুমুদ্দুরে—
হাওড় ছেড়ে হাতরে উঠলো বিলে, যেতে যেতে এলো চোখা-রাত;
মানুষের নেই উৎপাত! এরপর তাকে শিয়াল নিলো খেয়ে—