রেলকলোনি
রাতেরবেলা বোমাবাজি চলেছে
কখনো হইচই, কখনো চাপা আর্তনাদ
সারারাত চোখের পাতা এক করেনি রেলকলোনির বস্তি
পরেরদিন ভোরের বেলা কলতলা ফাঁকা
গলির রাস্তায় কো লোক নেই
শুধু কয়েকটা কাক কা কা করছে
শরতের রোদ এসে ধুয়ে দিচ্ছে রক্তের দাগ
শব্দের বাগান
আমাদের আঙুলের নিভৃত ঘ্রাণে মেশে সেই সব আলেয়া
পথের প্রান্তে শুধু ঘুমন্ত বিকেলের অসুখ জেগে থাকে
উপসর্গের মতো তীব্র প্রতীয়মান আলো
আজও ক্লেদ ও ক্লান্তির দাগ মেলে রাখে
এইসব বিষণ্নতা আসলে হারানো শব্দের বাগান
যেখানে ফুল নয়, ছড়ানো সুপ্ত কবিতার আগ্নেয়গিরি
আমরা যারা দুবেলা কবিতা খেয়ে বেঁচে থাকি
ভরপেট ঢেঁকুরের সাথে বেরিয়ে আসে গরম লাভা
রাত করে বাড়ি ফেরার পর
অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছ তুমি
তোমার ঠোঁটে লেগেছিল মদের বুদবুদ
চোখের স্ফটিকে গড়াচ্ছিল জল
শাড়ির ভাঁজে আটকে ছিল আমিষের গন্ধ
সিঁড়ি দিয়ে যে তোমাকে বেডরুমে পৌঁছে দিয়েছিল
সে ধরেছিল তোমার নিবিড় কোমর
গভীরভাবে
ভোরের আলো ফোটার আগেই
শাওয়ারে গা ভাসিয়েছ তুমি
অবলীলায় জুড়িয়ে নিয়েছ নিঝুম শরীর
স্নানঘরে খুলে রাখা পোশাকই শুধু জানে গোপন রাতের রূপকথা