০১
তোমার হাওয়া ভাবলে পরে মেয়ে
থোকায় থোকায় জামের শাখা দুলে
দিনের পিছে দিন গিয়েছে কত
পাড় ভেঙেছে ঢেউ লেগে দু—কূলে।
চেনা পাড়ায় বাউকুড়ানির ভয়ে
খেলার শিশু দৌড়ে ফিরে বাড়ি
হরপ্পার চাঁদ গলে পড়ে বনে
বাড়ির পাশেই ছোটে ফুলের গাড়ি।
তোমার হাওয়া ভাবলে পরে মেয়ে
আনকা জ্বরে থার্মোমিটার ভাঙে
দেখি কেবল কবুল কবুল আভা
টুনটুনিটা তিড়িং জমায় চাঙে।
ভাবছি তুমি সহজ ফোটার জবা
সন্ধ্যা আসে গল্পে ফেরাউনের
নীল নদে কার নৌকা ডুবে কবে
মুসার হাতের লাঠির দেখি হেরফের।
তোমার হাওয়া ভাবছি বলে মেয়ে
ফারাক্কা বাঁধ খুলেছ কৌশলে
বন্যা হলো মানুষ ভেসে গেলো
ভোরের ট্রামে যাচ্ছ তুমি ফলে।
০২.
এখন তোমার মুঠো ভরে ঝিনুক
থাকুক না হয় চন্দ্রপুকুর থাকুক
থাকুক না হয় একটা দুটো তারা
সান্ধ্যভাষা ঘিরে ফল্গুধারা।
সোঁদা সোঁদা ঘ্রাণ রাখিয়ো বুকে
ফিরলে আবার ডাহুক ধরা দিনে
ফাগুন এসে ঘুরে গেছে কবে
দাঁড়াই এখন একার এ আশ্বিনে।
আমি না হয় মানুষ নামের পোকা
হাত বাড়িয়ে দাও না মিঠা পানি
নরম ঘাসের চাদর ধুয়ে রাখো
আমার শীতে বালা যে আসমানি।
থাকুক না হয় একটু ছেলেখেলা
ডাকুক না হয় আমার অসুক বেলা।
পিলের ঘুমে রাত কেটে হয় ভোর
বন্ধ থাকে, তোমার বাড়ির দোর।
০৩.
খুব করে যে ডাকে ঝিঁঝি বেলা
এমন দুপুর লুকিয়ে কোন বনে
কার বনে যে ডেউয়া পাকে একা
তিলখেতে মৌমাছিরা গুনগুনে।
তখন তোমার ঋতু চেনার হাওয়া
এলাচ গাছের শাখায় নড়ে পাখি
পাখির ঠোঁটে রেখে আসা শিসে
একলা হলেই তোমায় ডাকাডাকি।