শিরোনামহীন
আমাদের যা মনে চায় আমরা তা লেখি না, কিংবা লেখলেও বুঝি না, আমরা ঝরা পালকের ডাকনাম জানি না, তাই পাখির নামেই ডাকি! আমাদের রান্নাবাটি ভাঙা আমরা তবু উষ্ণতা রাঁধি, পাতায় বেড়ে খাই। আমরা মেঘের ডাকে ঘর ছাড়ি, এক্কাদোক্কা খেলি নিরালা বেলায়! আমরা মন শুনি না জল ছুঁই না একলা একলা কাঁদি, আমাদের ফুলতোলা জমায় কালি লেগে যায় আমরা তবু মেঘের ছবি আঁকি! আমরা শালিকের ভালোবাসায়, ঘুঘুর ডাকে, দোয়েলের শীষে মুগ্ধ হতে হতে হাঁটি বিরানের পথ, আরও মুগ্ধতার সন্ধানে।
আমাদের কাল ডুবে যায় দূরত্বের বিকালে।অন্ধকারে চড়ে আমাদের চোরাপথে অনুপ্রবেশ করে স্পর্শগন্ধা ধাঁধা! আমরা হারাই আবার ফিরে পাই আমাদের পোষা ভালোবাসাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন মুখ ভিন্ন খামে। আমাদের সোনালি গমক্ষেত কবে অজগরে খেয়ে নেয় আমরা টের নাই না, আমাদের ফসল তোলা হয় না আমরা তবু নবান্নের গান গাই। আমরা হারিয়ে যাওয়ার নামে আরও মজবুতভাবে গেঁথে যাই পুরানো খাঁচায়। ঝুনঝুনিওয়ালা আর আসে না আমাদের আঙিনায়। আমরা সুখের হরিণ অবজ্ঞায় পেছনে ফেলে সোনার হরিণ খুঁজে বেড়াই। আমাদের ধান ডুবে যায়, পান পচে যায় তবু রসুন তোলা হয় না, আমাদের চাল ওড়ে যায়, ঘর ভেসে যায় আমরা তবু হাসি মুখে যুগল সেলফি তুলি।
বেসামাল মন
অলখেই না হয় আসো একদিন
বিড়াল পা’য়।
আড়চোখে দেখে যাও ভাঙা কাঁচের ক্ষত।
নগরীর সবকটি প্রবেশদ্বার, সুড়ঙ্গ রুদ্ধ করে,
কতোটা নির্মমভাবে পরাস্ত করেছ আমায়।
দেখে যাও। বিজয়ী সৈনিকের ক্রুর হাসি হাসবে না?
রাজ্য থেকে বহিষ্কার করে, নির্বাসিত করে,
তুমি ভালো আছো তো?
আমি…
কানকাটা তাজা কইমাছের মতোই তড়পাচ্ছি!
খোঁপার কাঁটা
অপাত্রে ঢেলে দেওয়া সবটুকু সুরার খালি বোতলে
গচ্ছিত রেখে মাদকতা
আমি এক শরাবি রাত,
চোখ খুলোনা, এখানে মৃত শহর ঘুমিয়ে আছে
যার ফসিলে খোদাই করা আছে একটি তাজা হৃৎপিণ্ড।
ছিঁড়ে যাওয়া শিরা দিয়ে কেবলই ঝরছে নীলাভ ভালোবাসা।
ছুঁয়োনা তাকে,
প্রলয় নৃত্যে ভিজে যাবে বুক পকেটে রাখা খোঁপার কাঁটা।