কবি
লোকটি কবি হতে চেয়েছিল
ঘুরবে সে এপার ওপার
তাই সে দুঃখ কুড়াবে পণ;
কিন্তু দুঃখ না পেয়ে, কবি না হয়ে
একদিন অকস্মাৎ সে মারা গেলো।
কাঙ্ক্ষিত দুঃখের সাথে ইথারে-পাথারে আজও তার কবিতার শব্দেরা ভেসে বেড়ায়—
কে নেবে দুঃখযাপন
কে আছে, কবি হবে
তার কামনা পূর্ণ হবে একদিন!
স্যানেটোরিয়াম
পাখিজাগা উদয়প্রহরে দেখি, অধিরক্ত স্বর চমকায়
আধো-জাগরণে, পতনের ধ্বনি এসে কপাটে ফেলছে বাজ
যখন শুনেছি সেসব, সেই শান্ত সকালে
অধীর উষ্ণতা ঘিরেছিল পরিপাশ, অবোধ
অশ্রুজাগরণে ছেয়েছে কপোল—
ওদের হৃদয়ের প্রভা ছিল বদ্ধপ্রকোপে ম্রিয়মান;
কে সেখানে জোনাক ছড়াবে…
কেউ শুনে যাবে, এসে দেখে যাবে কেউ
কেউ একজন গেয়ে যাবে অপ্রতিম গাথা
এই অভিলাষে, অনন্ত প্রহরে প্রহরে—
প্রাণের দুয়ার খুলে ক্ষণগুণে ওরা।
একমুঠে অন্বেষণ চোখে, যার টানে ওরা বাঁচে—
বেঁচে থাকে রুগ্ণ পরিধি!
পাতাঝরার অর্কেস্ট্রা
নৈঃশব্দের চেয়ে কিছু বেশি
খসে পড়ে হিম অনুপাতে
ইথারের সুমধুর তানে ছড়ায় মাধুরী—
ঘাসে ঘাসে, জল ও মাটির কিনারে মনোহর…
এসব পাখি শুনেছে আগে
মধুমাসে ভ্রমর শুনেছে
তারপর মেঘেরা বয়ে নিয়ে গেছে হিমাদ্রি-বাতাসে
উত্তর সাগরপারে তাই এতো রাগের হিল্লোল
এসো উপবনে
বিজন মধুস্বর-পাশে ঘুমায় ফুলেরা
এমন অনাহত নাদে বিরাম ব্যাহত হবে না
সেই রব, হলুদ পাতার পাশে মিটমিট মন্দ্র-মোহন বাজে;
চিরদিন সুরধ্বনি কুড়ায় জোনাকি:
নিশিদিন ঘুমচোখে জ্বলে তার সারাদেহ
এ এক প্রাচীন বিহিত!