আস্থাভোট
ধরুন আমি হেরে গেছি
আস্থাভোটে
জাত কি যাবে বেজাত যখন জগৎ লুটে?
খাচ্ছে কারা? খাক না…
ধরুন আমি হেরে গেছি ইচ্ছাকৃত
ধরুন আমি ধুতুরাফুল নিলাম মুখে
মিথ্যামিথ্যি প্রেমের নামে রাজার কাছে
শয়ে শয়ে রঙিন খামে কেনাবেচা!
ধরুন আমি লেনাদেনার রোজনামচায় রাখি ঘৃত
কী লাভ হবে আড়াল খুঁজে?
. —দিনশেষে যে আমার কাছে আমি মৃত!
কেউনা করুক আড়ালে সেই খোঁজ
হারার অনেক কারণ আছে
. —কোথায় গেছে প্রতিবাদের ডোজ?
ধরুন আমি হেরে গেছি
আস্থাভোটে
অনাস্থাতে দেখবে সেদিন রা রা
. —রাজধানীতে রোজনামচা পড়ছে কারা!
হিসাব
এই রোদে-পুরান জেগেছে মনে পুরানে
খরগোশ দিন চলে গেছে গাজর ক্ষেত
হামানদিস্তা তুলে চূর্ণ করি প্লাটিনাম জীবন
পুরানের ঘামে রুই আগাম ফসল
কিছু তো লাভ চাই, লাভ ছাড়া চলে কি জীবন?
অথচ পরিমিত জল নেই
ঘামে ভিজে চুপিসারে নষ্ট হলো হাইব্রিড বীজ
কত পত্রী সে হিসাব তোলা থাক
কৃষাণ মরতে মরতে আত্মা মারতে থাকে
এক তোলা সোনাতো চাবে এর বিনিময়!
অবাক ঘূর্ণিস্রোতে
সোনালি যায় ফসল যায় লাভের খাতায়
দালালের ফাইলে পড়ে থাকে জীর্ণদেহ
কৃষক মরে যায়, মরে যায় প্রকৃত শাবক
এরে কয় রাজনীতি! রাজনীতি!
নিন্দে খুব সহজ বিদ্যা
সহজ তো এই
বসন্তে, ধান কাটতে যাই রাজার ছেলে
আর তোমরা প্রেম করো সোনার গালিচায়—
মখমল বিছানায়,
আর বলো—দেখানো বিদ্যা ঝাড়ছি
তবু
সহস্তে কাস্তে লয়ে উজ্জ্বল হাসি দেই
আমিও তো রাজনীতি করে খাইদাই
তোমরা দেখো—আমার ইচ্ছাটুকু
বাকিটুক দেখার আয়োজন বৃথা।
সহজ তো এই
নিন্দে করা, যেমন করে ধেড়ে ইঁদুর
না পেয়ে দুটি ধানের শিষ
বুঝলাম, নিন্দে খুব সহজ বিদ্যা।
শহর নগর জুড়ে গিজগিজ করছে ইঁদুর
তোমার মুখে দেখি সেই প্রতিচ্ছবি