জারুলসভা
কয়েকটি বৃক্ষকে আমি একটি সভায় আহ্বান করেছিলাম।
হরতকি, পলাশ আর জারুল সমাবেশে সভাকর্তা ছিল সেগুন।
লক্ষ্য ছিল, কিভাবে প্রকৃতির সেবা করা যায়। কীভাবে জল
ছিটিয়ে সাধন করা যায় ভূমির কল্যাণ।
মানুষকে নিয়ে সবসময় সভা করতে নেই। মানুষকে; ডাকতে
নেই কাছে। খাদক কিংবা দেখক হয়ে যারা সাজায় বৃন্দাবন
তাদের ভোগের কাছে নস্যি যে আকাশ-
আমি তাকেও বলেছিলাম, সরিয়ে নাও তোমার ছায়া।
যে ছাদ সমান্তরাল নয়; কীই বা প্রয়োজন তার!
শোষণে-শাসনে যারা হরণকারী, কেন তারা অর্থাবতার!
কালপ্রিট
বাদামি চোখ দেখিয়ে কেউ পেটাচ্ছে হাতুড়ি। কেউ সবুজ ঘাসমাংসে চালাচ্ছে
কোদাল। কেউ সবক দিচ্ছে নীতির! একাত্তরে যারা গেটকিপার ছিল, তাদেরই
মহান বানিয়ে আকাশে উড়াতে চাইছে ঘুড়ি। সুতো কাটা বুড়ির মতো নাটাই
ঘুরাচ্ছে। নাচছে, নাচাতে চাইছে অথবা করছে মিছে কুর্দন। কেউ কেউ হাততালি
দিচ্ছে। ‘বুদ্ধিমান’ হনুমানের মতো করছে আদেশ-নিষেধ! এর ঠিক দক্ষিণ পাশেই
সম্পাদকীয় টেবিলে প্রধান পাগড়ি পরে বসে আছে পরিচিত কালপ্রিট!
নদীপালিত নরক
একদিন সকল মুনাফাখোরই নরকবাসী হবে। সকল মজুতদার তাদের
পসরা ভাসিয়ে দেবে নদীতে। খদ্দের না পেয়ে সকল কালোবাজারি;
ছুটে যাবে পাহাড়ের দিকে। কালোপাহাড়ও ঢাকতে পারবে না তাদের
জীবনের অন্ধকার। কতটা নিমজ্জিত হলে, মানুষ ডুবতে পারে- তার
উদাহরণ দেখিয়ে হাত নিচু করে নিজের বুকেই গুলি চালাবে মূর্খ
আততায়ী। পবিত্র মানুষেরা শুধুই হাসবে পাশে দাঁড়িয়ে। ওরা ঘন
আকাশের দিকে তাকিয়ে সেরে নেবে গহীন আরাধনা। যারা বনেই
বানিয়েছিল বাসর, তারা কয়েকটি ফুল কুড়াতে কুড়াতে সারবে প্রভাতফেরি।