সস্তা বিবেক
সাধুবাদ
আপনাকে সেলাম জানাই মহাশয়
কারচুপির কারুকার্যের যে
বিচক্ষণতা প্রদর্শন করলেন
তার জন্য সাধুবাদ জানাই।
গরিবের রক্তমাংসে অর্জিত যে টাকা
যার প্রতিটি নোটে লেগে আছে
শ্রমিকের ঘামের গন্ধ,
মিশে আছে অনাহারীর কান্না
অসহায়ত্বের আর্তনাদ,
যার প্রতি পরতে লেপ্টে আছে
ক্ষুধার্তের জ্বালা
অকপটে সেগুলো কিভাবে যে
আপন করে নিলেন!
তার জন্যে প্রশংসা করতেই হয় মহাশয়।
চিন্তিত হবেন না
আমি আপনার মতোই একজন নিতান্ত সজ্জন লোক।
আপনার আদর্শে অনুপ্রাণিত
আপনার অনুকরণেই উৎসাহিত
বুদ্ধির কারুকার্য শ্রমিক।
আমি আপনার মতোই সুশীল
সমাজের ঝুট-ঝামেলায় খুব বেশি জড়াই না,
মানুষের সাতপাঁচ ভাবার লোকও
আমি নই
কে কিভাবে বাঁচলো, কার কী হলো
এতে আমার বেশ আগ্রহ নেই
তবে
কড়কড়ে টাকার সুবাস যেখানে প্রবাহিত হয়
সম্পদের মৌ মৌ গন্ধে যে বাগান মুখরিত
সেই বাগানে
আমিও টুকটাক বিচরণ করি।
বিচলিত হবেন না মহাশয়
আপনার কাজের ধিক্কার তিরস্কার নিন্দা
ঘৃণা প্রতিবাদ প্রতিরোধ
কোনোটাই আমি করবো না
কেন জানেন?
কথা হচ্ছে
আমিও চোর আপনিও চোর
কে কার কলার ধরবো?
ঋণখেলাপির কাঠগড়ায় প্রেমিকা
হাতভর্তি শূন্যতা, মলিন বদনে বিষণ্নতা আর
বুকের পাতায় রক্তাক্ত অভিযোগ নিয়ে
প্রেমাদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে
বিষাক্ত কাব্যের পুনরাবৃত্তি করছেন
আবেগ ভালোবাসা বন্ধুত্বের কাছে প্রাতারিত এক প্রেমিক।
দমকা হাওয়ায় দুলছে
উলঙ্গ পাদুকা জগৎ। বর্জ্যের দখলে
মধ্যখানকা ক্ষুদার তীব্র অনলে জ্বলছে
তবুও ন্যায়প্রত্যাশী মন বিচারের অপেক্ষায়।
ঋণখেলাপির শক্তপোক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত তার প্রেমিকার প্রতি আজ নিক্ষিপ্ত হবে
তীক্ত সত্যতায় মোড়ানো, ঝলসানো শালিসনামা।
চুকিয়ে দেওয়া হবে দীর্ঘ সময়ের খেলাপি আবেগ
অতপর
উত্তপ্ত যৌবনের বিচারের রায়ে নিযুক্ত
পৌঢ়ত্বের জমিদারের চেতনায় শুধুই-
দাবানলীয় প্রদাহ।
প্রেম করা হলো না
অতপর আমার আর প্রেম করা হলো না
এই তুমি সেই যবে করেছিলে ছলনা
হয় যদি প্রয়োজন না হয় একা থাকবো
অবেলায় ক্যানভাসে নিজেকেই আঁকবো।
তুমি যদি ভুলে যাও সব স্মৃতি সবিতা
আমি কেনো লিখবো আর কোনো কবিতা?
পুরনো গিটারটাকে হাতে আর নেবো না
খোপাতে তোমার আমি ফুল কভু দেবো না।
সন্দেহ অভিমান কত শত অভিনয়
সবকিছু একসাথে শেষ হলো সবিনয়
আছি তবু বেশ ভালো নেই কোনো ক্লান্তি
চারপাশে চেয়ে দেখি সবকিছু ভ্রান্তি।
নিকোটিন ধোঁয়া ছেড়ে সুখনীড়ে ভাসবো
হৃদয়টা ছাই হলে মাঝে মাঝে কাশবো
ওপারেতে পাড়ি দিয়ে মুখটিপে হাসবো
দেখা দিতে তোমাকে কখনো বা আসবো।