অভিশাপ
যারা আমার দিকে উড়িয়ে দিয়েছিল
কাঠ এবং কয়লা,
আমি তাদের নাম লেখার চেষ্টাও করিনি।
সবকিছু আমি লিখি না।
লিখে রাখি না।
বরং অভিশাপের অভিধান খুলে তাদের
জন্য ছিটিয়ে দেই কয়েকটি মরা গোলাপের কঙ্কাল।
পরিধান
কিছুই আশাতীত নয়। কিছুতেই আশাহত নই
বলতেই পাখিটি তার পরিধান খুলে—
আমাকে দেখালো অন্য এক আসমান।
আমি এর আগেই জমিন ছুঁয়েছি জেনে
কয়েকটি শীর্ণকায় কাক পুনরায়
আমার মাথার ওপর দিয়ে দিয়ে গেলো চিৎকারধ্বনি।
প্রস্থান
যেতেই হবে। পথ আটকে রাখা যায় কতকাল আর!
আমার মুখাগ্নি সেরে যারা কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে চায়
তারাও যাবে—যেতেই হবে
আমি আবার জনম চাই, হুংকার দিতে চাই পুনরায়!
সড়ক
এই পথ তোমার নয়। এই মতও নয় তোমার
তাহলে কেন একাকার হতে চাইলে এই যমুনার জলে
কেন বিস্ময় প্রকাশ না করেই
কিছু পোশাক পুড়িয়ে দিলে বৈশাখী বজ্রানলে!
সময়
আমি আবার ফিরে আসবো। আবার রোদ
পোহাতে পোহাতেই মেলে ধরবো হাত।
রাঙা নয়, রক্তিম নয়—
চিনতে পারবে না কেউই—
কারণ আমি ঢেউয়ের আঘাতেই মুছে রেখেছিলাম
সবগুলো বিগত প্রভাত।