আঁকাআঁকি
যদি আঁকি নদী,
কুলুকুলু উলু দিয়ে
বয় নিরবধি।
যদি আঁকি পাখি,
খাতা ফেলে ডানা মেলে
করে ডাকাডাকি।
গাছ আঁকি যদি,
মায়ামাখা ছায়া দেয়
ঢেকে কড়া রোদই।
যদি ফুল আঁকি,
প্রজাপতি এসে বসে
ভুল করে নাকি?
যদি আঁকি মা-কে,
হাসিমুখে বুকে নিয়ে
মুখে চুমু আঁকে।
ছড়ার শিশু
ছড়ার শিশু বুকের মাঝে
. সুখের সাজে
. অহর্নিশি খেলে,
শব্দদেহে ছন্দ পেলে
. গন্ধ ঢেলে
. মুক্তিডানা মেলে।
ফুলের মত গাছের ডালে
. নাচের তালে
. ছড়ায় রঙের হাসি,
নদীর মতো কলকলিয়ে
. ঝলমলিয়ে
. বওয়ায় সুরের রাশি।
খুকুর মতো নূপুর পরে
. উপুড় করে
. ভালোবাসার ঘড়া,
মনের কালো মুছায় হেসে
. ঘুচায় এসে
. প্রাণের খরা-জরা।
ছড়ার সাথে নিত্য খেলি
. চিত্ত মেলি
. শিশুর মতো সুখে,
ছড়াই ছড়া-লড়াই ছাড়া
. বড়াই ছাড়া
. উঠোন-বাড়ি-বুকে।
শরৎমেঘে
আকাশপানে তাকাস যদি
মাখাস মনে কল্পনা
দেখতে পাবি নানান ছবি
যা বানানো গল্প না।
শরৎ-মনের দরদখানি
একটু মেখে নিস চোখে
মেঘের মাঝে বেগের সাজে
দেখবি কত দৃশ্যকে।
একের পরে থর-বিথরে
আঁকছে ছবি শিল্পী কে!
পাচ্ছে শরীর ফুল কী পরীর
হচ্ছে হঠাৎ নীল-ফিকে।
কোন জাদুকর তার স্বাদু কর
বুলিয়ে মেঘের অন্তরে
বানাচ্ছে ওই পাহাড় কতই
মানুষ-পশু-বন তো রে।
মেঘের পুরে বেড়ায় ঘুরে
হাজার মজার নকশারা-
যায় না দেখা সেসব লেখা
কল্পনা-রঙ শখ ছাড়া।
কল্পনা-রঙ শখ ছাড়া।