এক.
আলোকের ঘর কানাগলি পেরিয়ে
দাঁড়িয়েছে বড় রাস্তায়
অন্ধ লিখছি না
এক সাকারে যে এল
শাড়ির শরীরে চেনা ঈশ্বরী
কবিতা ফোটার গন্ধ আসছে
দুই.
খুলে রাখছি হিসেবের জামা।
পথে কুসুমের অক্ষর।
আঙুল টের পাচ্ছে নরম
পাখির ভেজায় আকাশ হল
এ ছাদে চুলের দীর্ঘ পালা
সামনে বসে আছে
হরফের ভিতর ব্যর্থ চেষ্টা
বেণী বাঁধবার
তিন.
রেডিও দুপুর অনুরোধ বাজায়
আসরে গড়িয়ে নামে গত জন্ম
চাদর পাল্টেও বাড়ি বাড়ি থেকে যায়
বড়ি শুকনোর এক উঠোন গল্প
চার.
সন্ধ্যার ভ্রমণ কথা নেই
বেলা চলে যাওয়ার পর
টেলিফোন মরে গেলে
শোকসভা দীর্ঘ হয়ে যায়
পুরনো ট্রাঙ্কে বেরিয়ে যায়
সুবাস ন্যাপথলিনের
দুঃখের উপকথা গুলি
চিঠি না থাকায় বিমর্ষ
জুঁইয়ের পাশে বসে থাকে
পাঁচ
জানালা রোদ্দূর পেতেছে বিছানায়।
নায়িকার ছায়া সেজে উঠেছে দেয়ালে।
বালিশে বালিশে ট্রেন ঘর
ডাক আসছে অনেক দূরের
উত্থিত গ্রীবা
বাহার নেমেছে পালকে ঝরনা কলমে
স্নানের পর
পরের বার স্পষ্ট ঠিকানা লেখার কথা
ভুল যেন না হয়
ছয়.
সেই সুপুরি বাগানের সুপরিচিত চোখ
ঋতুকে খুলে পরখ করে
এক এক সকাল
হোমটাস্কের মাস্টারমশাই
খাতা ভরলেই হল
খুশির ভেতর জেগে উঠেছে দিল
ঘুঘুদের সংসার অনেক ডানাকাকলিতে
সাত.
হঠাৎ দরজা খুলে গেরো বেরিয়ে পড়ে
পাইপ পাইপে পাইপার গায়
হারানো শিশু গান অবেলায়
পাশাপাশি ঘর
ধরে রেখেছে গল্পের নাম
দিনরাত্রি কিছু পাওয়া না পাওয়া
আট.
টবের জমা অনেক দূর ছড়ায় জল
সূর্যের জ্যান্ত মুখ খুব মনে পড়ে
ছোট চারায় চারায় আলো শিহরণ
দিব্যি মাথায় খেলে
দেখা না-দেখা খেলা
কোনিদের সাঁতার সাঁতার
জোর প্রতিযোগিতা
ছাদ থেকে ছাদ ঘুড়ি কেটে যায়
নয়.
লুকিয়ে রাখছে গান সিন্দুকের খাতায়
সজল জলধারা গা ছুঁলে
সা বেজে ওঠে স্নানঘরে
বিজনের চঞ্চলতা টের পাই
কলিরা বাইরের মেঘে
কৃষ্ণকলি খোঁজে
মিসকল অনেক অনেক জমা
স্মার্ট ফোনের গায়
বৃষ্টির ওয়ালপেপার
দশ.
রুমালী রুটির ভাঁজ খুলে গেলে
খিদে আড়মোড়া ভাঙে বিড়ালের
ব্রা খসে গেলে ব্রাজিল
চোখের সাম্বা সমুদ্রের
দেরি করতে ইচ্ছা হয় না আর
ফসকে যেতে যেতে ধরে ফেলা
পা জামার দড়ি
অশান্তির ভেতর অসংলগ্ন সংলাপ
বলতে বলতে ঝরে যায়
এক টব টিউলিপ
লক খুলছে না বলে সারারাত
ঠায় জেগে থাকা
নক্ষত্র শীতল হয়ে আসে