অনুশোচনা
এখানে এসে মনে হয়েছে
এই গলিতে আগেও এসেছিলাম
গলিতে ঢুকে ভাবতে থাকি
কখন এই গলির মাঝ থেকে
ছুটে পালাই! ছুটে পালাই!
এখানে তো আসার কথা ছিল না আবারও!
গলিতে কালিঝুলি
গলিতে আবর্জনা
গলিতে দুর্গন্ধ,
গলিতে বাতাস নেই
আলো নেই তো!
পিপাসা মেটানোর একটি টিউবয়েল
তাও পরিত্যক্ত!
এই গলিঘুপচিতে কেন আবার এলাম?
এতটা ভুল আমাকে নিয়ে এলো
কোন তাড়না?
এখন শুধু মনের যাতনা!
এখন শুধু দুঃখবোধ!
এখন শুধু অনুশোচনা!
গলিতে কেন? গলিতে কেন?
পথ ছিল না! পথ ছিল না!
দুষ্ট প্রেত
দুষ্ট প্রেত, পরী আর দেবদূতেরা এখন
মানুষরূপে এখানে-ওখানে
আমাদের চারপাশে!
শুধু মানুষই কম!
দম নেয় যদি প্রেত
দম নেয় যদি পরী
দম নেয় যদি দেবদূতেরা
তাহলে ট্যাবু ও মিথের বাস্তবতায়
আমরাও নেকড়ে ও কাকের আত্মা নিয়ে
বহাল তবিয়তে বসবাস করবো!
আমরা তা তো চাইনে—
আমরা তো মানুষ হয়ে মানুষের মত
হাঁটাচলা করে
হাটে গিয়ে জমির তরকারি ও মাছ
বিক্রি করে বাঁচতে চাই!
আমরা তো আঁতুড়ঘরের আত্মীয়ের
ভূমিষ্ট হওয়া সন্তান নিয়ে নাচতে চাই!
আত্মাহীন পাথর
জীবনের চেয়ে উর্বর হয়ে যাচ্ছে—আত্মাহীন
পাথর, মোটাতাজা হচ্ছে চারপেয়ে স্বাপদ,
চিড়িয়াখানায় নিয়ে কে তুলছে
আমাদের, বলিদানের দিন কি এসে গেল
আবারও! উর্বর যদি হয় বর্বর, তবে অসুস্থ
সন্তানের পাশে মোমবাতিও জ্বালানো
যাবে না! হস্তীচালকের অভিপ্রায় যদি হয়—
হাতির পায়ের নীচে পিষে যাই, হাতির পিঠে
চড়ার পর, তবে নিজের দুর্ভাগ্য আরও
কাছাকাছি আসবে—যা কয়েকশ’ বর্গ
কিলোমিটার দূরে ছিল!