আমি
কয়েকশ কোটি রাত খেয়ে আগামী ভোরে জেগে উঠবো যে আমি—এক মহাকাল। পাথর ও তৃণের মধ্যভাগে জন্মানো পৃথিবীর সারাংশ শৈশবে, আদিগন্ত আগুন ঘেঁটে জোছনামঙ্গলে বেড়ে উঠবে কৃষ্ণনীল তর্ক, মুখ ফসকে বেড়ে হবে কয়েকশ ভবিষ্যৎ! চন্দ্রমল্লিকার বনে, ঘুঘুফেরা সন্ধ্যাতারার দৃশ্যগুলো আত্মার চিকিৎসায়—মধ্যশতাব্দীর জল ও আকাশ স্পর্শ করবে, ঠাণ্ডা করবে—প্রেম ও স্তনের মধ্যমা…বনভূমির আদ্র ঠোঁটে
ট্রাই অ্যাংগেলে ভেসে থাকবে মাধ্যর্কাষণ…ভেসে থাকবে মুখোমুখি—
. চোখ
. ঠোঁট
. ও
. চুমুরঘূর্ণি…
এ এক আশ্চর্য আস্বাদন! হরিণের রিরংসামথিত রাত ঝাপিয়ে পড়বে ভোরপ্রেমিকের বুকে। আদিবীজ ও বিস্ময়ের নাভিতে তন্দ্রাবিমুখ জোছনা ফোটে উঠবে—দ্রুতগামী;
উন্মীলন হবে পাখিদের হৃদয়ে, উদ্ভিদের শিকড়মূল—সমুদ্রে, তারপর বাতাসে বাতাসে ধাঁধালো ভূগোলের উদ্ভিন্নকুসুমে কেঁপে উঠবে—চিরবসন্তের প্রতিধ্বনি! আমি আমি আমি!
রিসিভারে চুইয়ে পড়া জোছনা
রিসিভার থেকে তুলে খাচ্ছি সুন্দরীকণ্ঠ
হুঁক লাগানো পিনপতন লিরিক্যাল শিরশিরানি
ধাঁধালো আলোর জার্নি থেকে
বেজে উঠে আইটেম গানের হারমনিয়াম…
নতুন ঢেউয়ে
স্নানগ্লাস চোখে রেইনকোট ভিজে যায়
বিদ্যুৎ শর্কটে চুইয়ে পড়ে
মকবুল ফিদার দেবীদুধ
জিকির!
স্তব্ধতা
একটি কবর উপুড় হয়ে পড়ে আছে
ভেতরে তার কথার সমুদ্র, স্মৃতি—ধ্যানমগ্ন হয়ে
আজানের সুরে মিশে যাচ্ছে
তূর পাহাড়ে
ঘুঘু ফেরা এই সন্ধ্যায়
একটি হাতও কাছাকাছি নেই—শীতের শরীর
আলগোছে নিভৃত রজনীর ঘ্রাণ!
দূরে—নাড়াপোড়া ধোঁয়া উড়ছে
তিনশকোটি বছরের ভাঙন নিয়ে
বুকভেদে দাঁড়ানো গাছের চিরলপাতা ঝিরঝির বাতাসে
নড়ছে
কাঁপছে
বুকের ভেতর…
একটি আত্মা উপুড় হয়ে পড়ে আছে
পৃথিবীর সবটুকু মাটি হৃদয়ে পুষে আবাদ করছে
কোটি কোটি বছরের নিস্তব্ধতা!