আবু হাসান শাহরিয়ার—তার জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৫ জুন, রাজশাহীতে। কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। তিনি দৈনিক পত্রিকা আমাদের সময়-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক মুক্তকণ্ঠ ও দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকার উপসম্পাদক, ফিচার সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি
আবু হাসান শাহরিয়ারের পৈতৃক নিবাস কড্ডাকৃষ্ণপুর, সিরাজগঞ্জ। তার বাবা শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ সিরাজউদ্দীন ছিলেন একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও সরকারি কলেজের অধ্যাপক। তিনি মুহাম্মদ সিরাজউদ্দীন ও মা সাহিত্যিক রাবেয়া সিরাজের একমাত্র পুত্র। তার শৈশব কেটেছে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও ঢাকা শহরে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৯৭০-এর শেষভাগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। একবছর পড়ার পর মেডিক্যাল কলেজ ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষ না করেই কিছু দিনের মধ্যে তিনি প্রকাশনা ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। এরপর প্রবেশ করেন সাংবাদিকতায়।
প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ (১৯৮৬); অব্যর্থ আঙুল (১৯৯০); তোমার কাছে যাই না তবে যাব (১৯৯৬); একলব্যের পুনরুত্থান (১৯৯৯); নিরন্তরের ষষ্ঠীপদী (১৯৯৯); এ বছর পাখিবন্যা হবে (২০০০); ফিরে আসা হরপ্পার চাঁদ (২০০১); হাটে গেছে জড়বস্তুবাদ (২০০৩); শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৩); সে থাকে বিস্তর মনে বিশদ পরানে (২০০৪); প্রেমের কবিতা (২০০৪); বালিকা আশ্রম (২০০৫); কিছু দৃশ্য অকারণে প্রিয় (২০১৬); শিশিরে পা রাখো অসুখীরা (২০১৮)।
কিশোর কবিতা: পায়ে নূপুর (১৯৮৪); ভর দুপুরে অনেক দূরে (১৯৮৭); আয়রে আমার ছেলেবেলা (১৯৯৮)।
ছোটগল্প: আসমানী সাবান (১৯৮১)।
প্রবন্ধ-গবেষণা: কালের কবিতা কালান্তরের কবিতা (২০০০); কবিতার প্রান্তকথা (২০০১); অর্ধসত্য (২০০৩); কবিতার বীজতলা (?); কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা (২০০৪); সমাত্মজীবনী: মিডিয়া ও প্রতিমিডিয়া (২০০৪); কবিতার সঙ্গে কথোপকথন (২০০১); আমরা একসঙ্গে হেঁটেছিলাম; প্রবন্ধ সংগ্রহ।
সমালোচনা: উদোরপিণ্ডি (১৯৯০)।[৪]
সম্পাদনা: প্রামাণ্য শামসুর রাহমান (১৯৮৪); জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র (২০০৩); জীবনানন্দ দাশ: মূল্যায়ন ও পাঠোদ্ধার (২০০৩); রূপসী বাংলা (২০০৩); বনলতা সেন (২০০৪); জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৬); জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত প্রেমের কবিতা (২০০৬)।
পুরস্কার ও সম্মননা: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (কবিতা) ২০১৭।