ক্ষমার বাহার
ক্ষমার বাহারে দেখো নেচে উঠছে
সহস্র মানুষের প্রাণোচ্ছ্বাস
রক্তপাতে ভরে ওঠা দেয়ালে
ছড়ানো ছিটানো মাংসকণার ঘ্রাণ
ধীরে ধীরে অশ্রু মুছে
মূক হয়ে যাচ্ছে মৌন ফুলের তোড়ায়
যুথবদ্ধ সহস্র প্রাণের উল্লাস
থেমে গেছে জংলিপনায়
তুমি ফিরে এসে চারিদিক মুখরিত করো
শরীর উৎফুল্ল করে
শিশুদের বেজার মুখে পুরে দাও সবুজ স্তন
তোমাকে ভাসিয়ে নিক অন্তর্দাহের এ কাল
চোখের পাতার নিচে
সাজিয়ে রাখুক রক্তপাতহীন বিমুগ্ধ হাওয়া
উড়তে থাকুক নীলছায়ারেখা ধরে
তোমার ক্ষুদ্রক্ষুদ্র জীবনকণা
সর্ন্তপণে সঙ্গ দিক উন্মাদ সমস্ত মেঘ দল
দূর থেকে তোমাকে দেখতে দেখতে
শান্ত হোক আমাদের তৃষ্ণার্ত বনাঞ্চল
মা
মাকে কিভাবে বলতে হয় ‘ভালোবাসি’
আমি জানি না, আমার জানা নাই।
প্রতিদিনই তিনি মনের ভিতর
এপাড়া ওপাড়া উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ান।
তার ডানার শব্দ আমি শুনতে পাই।
আমি তাকে যেকোনো মুহূর্তে
দেখতে মন চাইলেই দেখতে পাই।
সত্যমনের বনবাদাড়ে
তাঁর কোনো অনুপস্থিতি তো নাই।
এই দাহকাল
এই দাহকালে তুমি নাই
আছে পুরনো কাঠের ঘ্রাণ
আছে সন্ধ্যার তারার মতো
খুলে পড়া দেহ
খুনি আর মুখোশে ভরা দেয়াল
মুচড়ানো শরীরে নখের চিহ্ন
কিভাবে কিভাবে যেন মুছে গেছে আলো
মুছে গেছে কোমল স্পর্শের দাগ
লুপ্ত হয়ে গেছে আমাদের
টাটকা মহুয়াবন!
তুমি ফিরে এসে আবার ফেরাও বরিষণ!