প্রার্থনাসঙ্গীত
(হেনরী স্বপন ও ইমতিয়াজ মাহমুদ)
ক্যাথেড্রালের প্রার্থনাসঙ্গীত নিরীহ
অতিন্দ্রীয় সুরে, নিবেদনে বেজে ওঠে মর্মস্পশী
আজ তবে সে কেন অনাহেতু সৃষ্টি করে
প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রাণ সংহারের মরণ বিউগল।
কেন হয়ে ওঠে অতিকায় তিমির মতো আগ্রাসী?
হা-গহ্বরে টেনে নেয় সমুদ্রের নিরীহ মীন।
ভক্তকূল তাকে চিনেছিল আমাবস্যা শেষে
তার চোখে নেমে আসবে ভোরের আলো,
প্রসন্ন সে গেয়ে উঠবে তিমিরবিনাসী গান।
আর দ্যাখো গির্জার সেই নিরীহ সঙ্গীত
আজ কাকের কণ্ঠে কর্কশ প্যারোডি হয়ে
আর্তনাদ মর্মমূলে গেঁথে আছ, জেলে বন্ধ ঘরে…
কৃষিযজ্ঞকালে
এই যে মাঠে মাঠে ফসলে পোড়ানোর দৃশ্য
কিংবা রাস্তায় ছড়িয়ে দিচ্ছে কাকের আহার
এ হলো ফসলের অতৃপ্ত আত্মার দাহ।
নতুন আবাদের সম্মোহনে কৃষকের কিংবদন্তী
কিছু নেই, অজন্ম সংক্রামক ব্যাধি বহন করা ছাড়া।
রোদে শরীরের জলীয়বাষ্প বাতাসে যদি লীন
মূলত পূর্ব পুরুষের পাপে রক্ত হয় ঘাম সরোবর।
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নতুন গাছের অঙ্কুরোদগমে
বিশ্বায়নের কাছে নতুন উদ্ভাবনের প্যাটেন্ট নেই,
আছে শুধু মায়ের মমতা, অশ্রুজল বর্ষার ট্র্যাজেডি।
এ হলো কৃষকের মূর্খ সংস্কার, অগ্নিযজ্ঞ উৎসব,
মাটি চাপা গোরের আর্তনাদ, তার পাপজন্ম।