প্রবাল পুরুষ
প্রবাল পুরুষ তুমি কি জানো—
বৃষ্টি হচ্ছে নারীর সাতকাহন?
বহু অস্বচ্ছ কথার ছলচ্ছলে শব্দ
বিদেহী আত্মার ভাষা প্রকাশের কৌশল!
নারী বৃষ্টির মতো!
অন্তহীন আনন্দ প্রপাত
বৃষ্টি বিন্দুর শিহরণ জাগানোর অভিপ্রায়
ঊষার মৃত্তিকার বুকে প্লাবন—
ধুয়ে-মুছে দিতে পারে তাবৎ প্রজাতির
পাপতাপ-গ্লানি-মনস্তাপ।
নারী-বৃষ্টি, রুম-ঝুম-ঝুম,
শুদ্ধ ছায়ার দোদুল মানবিক বিপুল বৈভব।
দেবতা-১
হৃদয়ে আঁচড় কেটে তোমাকে আঁকি
তুমি দেবতা, সময় সোপান পাথরের কাছে
বিদেহী কথার সমস্ত নিকাশ!
সবুজ পাতা ঝরে গেছে মহুয়ার ডালে কোকিলের কুহুতান
আজ ঝরা পাতাদের মিছিলে লিখে দিলাম সব অভিমান!
রক্ত ক্ষরণের জ্বালা, দুচোখের নোনা জলে-একটু একটু করে
ছুঁয়ে যাক হৃদপিণ্ডের সব অবকাশ।
দেবতা-২
বিনম্র উচ্চারণেই-তুমি দেবতা!
আমি গাইলে-গান, তুমি মহাপ্রাণ
প্রেমের আর্তি!
তা নাহলে তুমি তো মাটির মূর্তি।
আমি দিলেই পূজা তুমি পাও দেবতার সুখ
আমি জ্বলি, সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালি;
হৃদয় নিংড়ানো অঞ্জলি!
আমার প্রেমেই তুমি দেবতা
না হলে প্রাণহীন তুমি তো পাথর।