হলুদ প্রজাপতি
একটি হলুদ প্রজাপতির রঙ-বাহারি ডানা
উড়ছে কেবল হৃদয় ছুঁয়ে, আমার ছুঁতে মানা
হাসতে পারে মিষ্টি করে, গাইতে পারে গান
আলতো ছোঁয়ায় মুগ্ধ করে লাগায় দিলে টান।
চোখের কোণে স্বপ্নজমা, বুকের ভেতর মায়া
ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায়, মনজুড়ে তার ছায়া।
ছায়া খুঁজি-মায়া খুঁজি দেয় না ধরা সে
তার ভাবনায় কাব্য গড়ি মনের আকাশে।
প্রজাপতির বন্ধু হব, ভীষণ আকুলতা
কে শুধাবে মনের খাতার নীরব ব্যাকুলতা?
ভালোবাসার স্বপ্নগুলো হৃদয় করে লালন
বুকটা দিলাম আকাশ করে মনকে ফুলের কানন।
প্রজাপতির রঙিন ডানায় স্বপ্নরা সব হাসুক
রঙ-বাহারি ডানায় চড়ে ইচ্ছেমতো ভাসুক।
প্রজাপতি
ও চপলা নাম কী গো তোর? আয় না আমার পানে
গুনগুনিয়ে কি গান শোনাও পুষ্পরানির কানে?
দুলদুলিয়ে যাও মিশে যাও সর্ষে ফুলের দেশে,
নাও না আমায় সঙ্গী করে একটু ভালোবেসে।
কোথায় তুমি পাও গো এমন হাজার রঙের বন্যা?
কোন সে দেশের রাজকুমারি কোন সে রানির কন্যা?
ভরদুপুরে ছুটে বেড়াও রোদকে ভালোবেসে,
বৃষ্টি এলে কোথায় হারাও লুকোচুরির বেশে?
জল কি তোমার খারাপ লাগে? শুষ্ক কেন আঁখি?
আমরা দেখো এক নদী জল বক্ষে পুরে রাখি।
খলখলিয়ে ফুলের মতো হাসতে পারো তুমি,
নাচতে পারো ফুল-পাপিয়ার রাঙিয়ে হৃদয় ভূমি।
তোমার মতো হয় না কেন আমার জীবনখানি?
দুঃখগুলো ভাসিয়ে হাওয়ায় দাও না সুখের বাণী।
ফুল আর পাখিরা
এইখানে আছ যারা ফুল আর পাখিরা
তোমাদের কথা বলি থাক বাদ-বাকিরা।
মনে আর প্রাণে দাও তোমাদের সুর তো
জরা আর জীর্ণতা যাক হয়ে দূর তো।
দুখে যারা সুখী নয়, নয় তারা লক্ষ্মী
কাক আর কাকাতুয়া নয় একপক্ষী।
ফুল হও পাখি হও, হও আরও দস্যি
সময়ের ডাকে কভু রেখো না আলস্যি।
তোমাদের কাছে আজ আছে খুব শেখ্য
আর যা আছে কিছু, নয়কো তা লেখ্য।
সুর আর গানে তাই লিখি তব কাব্য
তোমাদের মতো করে জীবনটা ভাব্য।
এই হোক আমাদের আগামীর লক্ষ্য
ফুল আর পাখি হয়ে গড়ি তব সখ্য।