আকুম বাকুম পাখি
এখনো সেই পাহাড়ি পথ আমায় কাছে ডাকে!
এখনো রোজ সেই মেয়েটি দাঁড়ায় পথের বাঁকে!
সেই মেয়েটির দুই চোখে নীল মায়া প্রদীপ জ্বলে!
যে আলোতে পথ হারা দ্বীপ সামনে ছুটে চলে—
এখনো সেই কিশোরী গ্রাম নেশায় ছুঁয়ে থাকি!
বুকের ভেতর মোহর ছড়ায় আকুম বাকুম পাখি!
সুরের ভেলায় মেঘ ভেসে যায়—মেঘের ফাঁকে-ফাঁকে,
ভর দুপুরের রোদের আতর ছড়িয়ে শুধু থাকে!
ছড়িয়ে থাকে পালক মাটির গভীর ভালোবাসা!
দেবদারু গাছ দুলতে থাকে টাপুর টুপুর আশায়!
সেই আশাতে অলীক ভুবন পরায় প্রীতির রাখী!
বুকের ভেতর মোহর ছড়ায় আকুম বাকুম পাখি!
এখনো সেই কিশোরী গ্রাম গান শোনাতে আসে!
এখনো সেই পাহাড়ি পথ চাঁদকে ভালোবাসে!
তারারা সব সদলবলে রাতকে ডেকে তুলে—
ভুবন টাকে দেয় সাজিয়ে রঙিন ফুলে ফুলে!
বইতে থাকে খুশির বাতাস—ঝুর ঝুরে দিন আঁকি!
বুকের ভেতর মোহর ছড়ায় আকুম বাকুম পাখি!
ফুলকুড়ুনি তোরণ সাজায়, নতুন নতুন গাছে!
আঁকন বাঁকন চিকন বাঁশি ওড়না হয়ে নাচে!
নাচতে, নাচতে, নাচতে, নাচতে ধূসর খাতায় এসে!
লেখায় লেখায় দেয় ভরিয়ে সেই রূপে রোজ ভেসে—
ঝাউপাতাদের হাত-তালিতে হই যে মাখামাখি!
বুকের ভেতর মোহর ছড়ায় আকুম বাকুম পাখি!
ঝিনুক কিশোর
ও মাটি,
সখ্যে ওড়ে রঙিন চিঠি—এখন যে ঘুম জাগে!
এখন পাতার ঝুমঝুমিটি, শুদ্ধ ইমন রাগে!
ও ঝিঁঝি,
গল্প ফুটুক রাজ মুকুটে, হাসুক গানের মালি!
আলাদীনের প্রদীপ ছুঁতে ইচ্ছে বুকে জ্বালি!
ও পাখি,
সত্যি কি এক রাজার ঘোড়া—এখন রাজা আছে?
আছে, আছে, ধুলোয় মোড়া ধন্য পারুল গাছে!
ও নদী,
রৌদ্র আলোর ঝিনুক কিশোর ছড়িয়ে মেধার আশা!
রোজ এঁকে যায় ফুল ফোটানোর স্বপ্ন ভালোবাসা!
ছবি আঁকে কবিতাটি
কাগজ কুচিরা মেঘ হয়ে ভাসে—ভালোবাসা মেঘ তুমি!
এই ধরো দেশ। ফুল ফোটে ঘাসে। তারাগুলো ঝুমঝুমি!
ঝাউবন ভোরে খোঁজে কাকে জানো? শিশিরে ডুবেছে বাঁশি।
আমি রাজহাঁস, আকাশ ভরানো বুনো সুর হয়ে ভাসি!
ভাসতে, ভাসতে ঘুম পথ টেনে, একরাশ মায়া তুলে—
তারাদের দুটি হাত ধরে এনে বই পড়ি ইসকুলে!
ইসকুল নদী! নৌকো বানিয়ে ঢেউ ছুঁয়ে ছুঁয়ে হাঁটি—
চিবুকে আলোর পাঁপড়ি বিছিয়ে ছবি আঁকে কবিতাটি!