হৃদয়ে রুমাল ওড়ে
হৃদয়ের দুয়ার খোলো, নয়নের ঢাকনা সরিয়ে ফেলো
তারপর পরানের গহীনে ঢুকে একটা রুমাল খোঁজো—
এখনো উড়ছে বলেই সেটা দেখতে পারো
এক মহাজনের ট্রেডমার্ক পতাকা এটা
এই বুকের ভেতর যত্ন করে রাখা আছে বলেই এর মালিক তুমি না;
সে এক বিরাট মহাজন, সব তারই মালিকানা,
চাইলেই নামিয়ে নেবে পতপত করে উড়তে থাকা নিশানা
মনের ভেতর যে রুমাল ওড়ে
সময় হলেই সে ভাঁজ করে পকেটে তোলে
হৃদয়ে ডাহুক ডোবে, রঙ হারায় নীলিমা, তবু পাখি নীড়ে ফেরে না।
যেখান থিকা রুমাল নড়ে বেবাক জায়গাটা খালি খালি লাগে
মহাজনের হিসাব অ্যানাও বুঝি না বাহে
হৃদয়ে রুমাল ওড়ে অন্য কারো ইশারায়
ভাটির টানে শুধু দাঁড় ধরা দায়, বাকিটা বাতাসে খেলায়—
যাদুকর মহাজন রুমালে লুকিয়ে রাখে অন্য জীবন।
একটি গোধূলিহীন সন্ধ্যার গল্প
পরাহত গৃহে ঢোকে ডানাভাঙা আহত হৃদপিণ্ড
জোছনাবিনাশী রাত নামেনি তখনো
তিলোত্তমা নগরের ধুলাচ্ছন্ন বাতাসে মনপোড়াগন্ধ
মধ্যচৈত্রের হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো বরফখণ্ড
চোখজুড়ে পাংশুল হয়ে ওঠে বিপন্ন সময়গুলো
বুকের বাম দিক পালা করি ঝরে পড়া আমের গুটি
আমি এক বিধ্বস্ত ধানক্ষেত, মনজুড়ে শিলাবৃষ্টি
রফিক আজাদ
পানশালায় মুখরিত উল্লাস; তবু
পেয়ালাটি শূন্য পড়ে থাকে আজ।