নব-অন্নের গান
তুমি এসেছ ফিরে আঁচলে নবান্নের ধান নিয়ে
এসেছ শালিকের বুকে সাদা পালকের বেশে
শিশিরে ভেজা ন্যাড়া মাঠের আলপথ ধরে
ছোট্ট ফড়িং-এর বেশে।
শ্রাবণ ধারায় ভিজিয়ে নিলে সব কেড়ে
প্রেমে মুড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে
মানব জাগরনে স্বরলিপি চিনিয়ে
দিলে মানুষ বানিয়ে।
বিংশ শতাব্দীর একুশ
বারবার ফিরে আসে একুশ
চিরায়ত সভ্যতাকে অবজ্ঞা করে
বসন্ত আগুনে প্রকৃতি রাঙিয়ে।
নতুন আবহে, নতুন দিনের গানে
ফুলের বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবার একুশ
গেয়ে ওঠে যৌবনের জয়গান।
আঠারো এসেছে নেমে
আজ এই দেশের বুকে আঠারো এসেছে নেমে
কবির কলমের সোনালি অক্ষর শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে
ঝরছে আজ যৌবনের মিছিলে।
আজ এই দেশের বুকে আঠারো এসেছে নেমে।
বনফুলের সৌরভ ছড়িয়ে মৌমাছিরা গেছে জেগে
যেন বসন্তে এসে গিয়েছে বাংলার বুকে।
নিয়তিকে অবজ্ঞা করে তারা ছুটছে মিছিল স্লোগানে।
গ্রেনেড বারুদের গন্ধকে অস্বীকার করে
প্রেম ছড়িয়ে দিয়েছে জনসমুদ্রের আকাশে।
আজ আমার দেশের বুকে আঠারো এসেছে নেমে।
প্রতিটি জীবন আজ পদ্মা মেঘনা গৌরি যমুনা
ভাসিয়ে দিয়ে গেছে সোনালি স্বপ্নের আঙিনা।
আজ আমার দেশের বুকে আঠারো এসেছে নেমে।