আমি
যতটা বিষন্ন তুমি, তারও কম শান্ত অনুরাগ।
বর্ণ খুলে দাও,
উড়ে যাক সাদাপাখি।
ঈর্ষার মতো অশ্রু নামে, একবার তাকালে তিনতারে
বেজে ওঠে তোমার শ্রাবণ।
ঋতু যায়, বদলে যায় পাতার কাহিনী।
কোলাহলে ভেঙে পড়ে তোমার শ্রুতি। পরিযায়ী আসে,
ফিরে যায় আরও দূরে;
কোনো কোনো যোগফল তাই আজও একা।
তুমি না বিদেহী—
কে প্রথম আমি; কার চোখে যৌথ অশ্রুকণা।
শুধু আকাশ তাকিয়ে দেখে, আমিদের সহমর্ম গান।
যৌথ
যেকোনো আলোর দিকে হেলে পড়া জুঁই, স্বরবর্ণে জমা রাখে অপার মহিমা।
সাতটি সেতার বাজে, কতটা দূরত্ব বাজে সরলগান্ধারে!
আমিও তোমার মতো আরশির পাতায় পাতায় পতঞ্জলি আঁকি।
যারে দেখি সে আমি নই—
আমারে বিদ্রূপ করে বিম্বিত অসুখ।
যৌথ তুমি, তারপর একা একা সুমন্দ্ররেখা।
অরণ্যে এসো, লীলাখণ্ডে হাত রেখে একবার আর্তনাদ শোনাও।
জল
এই যে পাথর একদিন পাথর ছিল না। মৌযানে কুণ্ ও কোলাহল ছিল।
তার বুকে যেটুকু বিনাশ রূপের দ্বৈরথে ভেসে গেছে কবে।
প্রাচীন স্রোতের মতো নদীগুলো ধ্বনি তুলে যায়, বর্ষা যায়—
চারিদিকে ইতিহাস হাত তুলে থাকে।
অমিত নির্জন জানে, অন্ধকারে মোহ আসে; শরীরে মুখর পাতাঝরা রাত।
বাতাসে বাতাসে ওড়ে চন্দন হাওয়া।
ঘুমাও অধরা, একদিন বসন্তও জেনে যাবে—
প্রথম দিনের আগে কোনো এক ঋতু ছিল, যার নাম জল।