আঙুলে হরিণের ঘ্রাণ
চৈনিক প্রবাদের মতো মেঘ, সেখানেও বিশেষ খেলা
তুমি এমন আচ্ছন্ন মেখে থাকো কেন?
একটা জীবন আধপাতা ভর্তি জল
আয়নায় এমন অন্ধকার ছিল না যে, লুকিয়ে খেলব
শ্যামলারঙের চোখ, কতবার আমি হরিণ দেখতে চেয়ে
সাদাতুষার, পায়ের ছাপ অনুসরণ করে এসেছি
চেয়েছি উপনিষদের কোথাও নেই এমন হরিণ
অনেকদূরের হাত কুড়াতে থাকে গতবছরের পাতা
কোথাও চোখ কামড়ালে মনে হয়
আঙুলে হরিণের ঘ্রাণ।
অবিমৃষ্যকারিতা / কচি রেজা
ছায়া পুড়ে গেলে আমি কুড়িয়ে রাখি ছায়ার হাড়
আঠারোর ডিমগুলো একত্র করি তেতো আঙুলে
খাঁচা খুলে চলে গেছে যে পূর্বতন তার জন্যও
বুদ্বুদ জড়ো করে জুড়ে যাচ্ছি
অবিমৃষ্যকারিতা…
শোক ও সন্তাপ
চশমার কাচে যে ঝাপসা—এ সন্তাপ মুছতে হয় আমারই
জানতে ইচ্ছে হয়, শরীর লেপ্টে থাকা কষ্ট, এই চেপে যাওয়া
এক দুঃখভিতুর ধৈর্য
প্রথম সন্তান ভাসিয়ে দেওয়ার পর প্রত্যেক শীতে আমি
গাছে পিঠ পাতি
রোদেরা চুলের ব্রাশ ছুঁয়ে ওপাশের এসবেস্টাসের চালে
টুনটুনি লেখে
এতসব শোকের ভেতর দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার কান্নায়
চমকে যাই আমি।