রাস্তাবাবু
রাস্তাবাবু ভীষণ গরিব মন ভালো নেই মোটে,
বছর কাটে ধুলোমাখা একটি কালো কোটে।
গায়ের ওপর বেপরোয়া গাড়িগুলো ছোটে,
শুধু গাড়ি? গাড়ির পেটে হাজার মানুষ জোটে।
হঠাৎ আবার দুর্ঘটনার হিংস্র থাবার চোটে-
শরীরজুড়ে কাটাছেঁড়া বিশাল ফোসকা ফোটে।
নেই চিকিৎসা, নেই কোনো রেস্ট নেই তো হাসি ঠোঁটে,
দিন যত যায় রাস্তাবাবু রোগা হয়ে ওঠে।
নগর মিয়ার মা
শহরবাসীর ভোট জরিপে নগর পেলো পিতা,
খুঁজে দিলে পিতা শুধুই! মাকেও খুঁজে দিতা?
পিতা পেয়ে পুরোপুরি নেই তো নগর ভালো,
বোমাগুলির শব্দ শুনে এখনো দেয় ফাল ও।
এখনো তো গায়ে তাহার লেগে আছে ধুলো,
জামাকাপড় গন্ধে ভরা ময়লা ভরা চুলও।
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গলা অব্ধি ডোবে,
মন ভালো নেই নগরমিয়ার যাচ্ছে ফেটে ক্ষোভে।
দিন যত যায় নগরপিতা নগরটাকে ভোলে,
মায়ের মতো দেয় না আদর নেয় না মোটেই কোলে।
ভোট দিয়ে ফের দাও খুঁজে দাও নগর মিয়ার মাকে,
যত্ন পেলে কী যে দারুণ লাগবে নগরটাকে!
ভোট
ভোটের আগে সকল নেতা আহা! কী যে সৎ!
সোনার স্বদেশ গড়ে তোলার খুঁজে বেড়ায় পথ,
সেমিনারে বক্তৃতা দেয়-
করবে কেউ বা ডোবা ভরাট, রাস্তা মেরামত।
মশাজাতি স্লোগান ধরে চায় না তারা ভোট,
করবে কেন ডোবা ভরাট? লাগছে দিলে চোট,
বাড়ি ভরাট অপরাধে-
করবে মামলা, এক কাতারে বাঁধবে সবাই জোট।
হঠাৎ যে এক বৃদ্ধমশা বললো ওরে থাম,
ভোটের আগে সকল নেতার এসব বলাই কাম,
ভোটের পরে সব ভুলে যায়-
ছোট বড় প্রতিশ্রুতির থাকে না আর দাম।