কথা-ই বড়শি বাঁকা
বলবে রে কাক কেমন আছিস ময়লা খেয়ে খেয়ে
যেখান থেকে গন্ধ আসে হরহামেশা ধেয়ে?
পরিবেশে তোর অবদান নয় রে মোটেও তুচ্ছ,
চারদিকে এর প্রমাণাদি আছে গুচ্ছ গুচ্ছ।
শিশুকেও তুই ভালোবাসিস, তাই তো পেলে ফাঁক
সকাল বিকাল সঙ্গী হয়ে লাগিয়ে দিস তাক।
মন দিয়ে বেশ জোগাড় করিস ভালোমন্দ খেলনা,
বন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে বুঝাস এ নয় ফেলনা।
স্বর্ণ-রূপা-টাকাকড়ি হঠাৎ পেয়ে গেলে
সঙ্গীকে তা দিতে আসিস সকল কর্ম ফেলে।
শিশু উপযোগী সবই কুড়িয়ে এনে ঠোঁটে
যত্ন করে দিয়ে থাকিস হাসি যাতে ফোটে।
তবু কেনো লোকে বলে, কেবল করিস কা-কা ?
রাগ করিস না, জানিস এদের কথাই বড়শি বাঁকা।
ইচ্ছের পাখিটাকে
পিঁপড়েরা ছোট থেকে
চায় দলে চলতে
জোনাকিরা লেবুতলে
মিটিমিটি জ্বলতে।
মৌমাছি নেচে নেচে
ফুলে ফুলে বসতে
গুনগুন সুরে সুরে
সারাবন চষতে।
শ্যামা চায় ভালোবেসে
প্রদীপেই পুড়তে
শিশুসব প্রজাপতি
হয়ে বনে উড়তে।
ফুল চায় দিকে দিকে
সুগন্ধ ছড়াতে
পাখি চায় সুরে সুরে
শ্রোতা কান জড়াতে।
আমি চাই এই সবে
ডুবে ডুবে থাকতে
ইচ্ছের পাখিটাকে
হাসিখুশি রাখতে।
কালবৈশাখী ঝড়ে
শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ে
ভেঙে পড়ে গাড়ি,
বাগ-বাগিচায় বৃক্ষ সারি সারি।
ভাঙে বাড়ি, হাঁড়ি-পাতিল
ভাঙে লোকের মন
সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকা
মনজুড়ানো বন।
বৃক্ষ ভেঙে, বাড়ি পড়ে
ভীষণ ক্ষতি লোকের,
শতো শতো মানুষ মরায়
নামে ছায়া শোকের।
চালিয়ে যাওয়ায়
ডানে-বামে একই নগ্ন নাচ,
থমকে দাঁড়ায় কলকারখানার কাজ।
থমকে দাঁড়ায়
অফিস-আদালত,
চলাচলের সকল রকম পথ।
উড়িয়ে নেয় যা যা খুশি
আছাড় মারেও আবার
এক নিমিষেই জীবন করে সাবাড়।
কালবৈশাখী ঝড়ে
কেনো এমন করে?