বৃষ্টি গেছে নির্বাসনে
বর্ষা গত হবে ক দিন পর
বৃষ্টি নাই। চারদিকে হাহাকার
বৃষ্টিরা চলে গেছে কবিতার খাতায়
কিষাণের বুক ভাঙে চুরমার
বৃষ্টি নাই ওড়ে তপ্ত বালুকণা
বৃষ্টিরা হয়ে গেছে শিল্পিত চিত্রকলা
বর্ষা গত হবে ক দিন পর
জাদুঘরে ঠাঁই নেবে লাঙলের ফলা
নীলাভ অন্তরীক্ষে মেঘের আনাগোনা নেই
শ্রাবণ কাঁদে বৃষ্টিহীন বিজন প্রান্তরে
বুকের হাড় গোনে কিষাণ বধুয়া
বৃষ্টি চাই বৃষ্টি চাই। মাতম চলে বাঙলার ঘরে
নিশীথের কাব্য-১
তোমাকে দেখি না যেন বহুযুগ ধরে
তবে কি উধাও তুমি শরতের ঝড়ে
নদীর দুকূল ঘেঁষা শুভ্র কাশ বনে
হেঁটে চলো মেঘ কন্যা হাঁটো আনমনে
সমুদ্ররমণী তুমি, গৌতম আনন
ত্রিকালজ্ঞ বৌদ্ধ ছায়া, জারুল কানন
বিশাখা শোনিত জলে হয়েছ মহৎ
কতটুকু জানি আমি! অদৃশ্য জগৎ
কবিতার শব্দগুলো পাহাড়ের খাঁজে
মহালয়া চণ্ডী হয়ে টুংটাং বাজে
অথচ তোমার দেখা সুদুর অতীত
আমি একা শুনে যাই শারদীয়া গীত
দীপান্বিতা
পীতবর্ণ চোখ দু’টি কেন আজ ফোলা ফোলা লাল
রক্তের সমুদ্রে শুধু মাথা তোলে তিমিরের তিমি
কিসের বিরহে আজো কেঁদে ওঠে বিষণ্ন বিকাল
ঠোটের কোণায় আর বাজে না সে সুর রিমিঝিমি
কার প্রলোভনে সখী ভুল করে ত্রিশুল ফলায়
ঠেলে দিলে আপনাকে উনুনের জলন্ত আগুনে
কী হাল হয়েছে বলো কোলাহলে পুষ্পিত গলায়
ভুলের মাশুল দাও ঘোলাজলে দু’চোখের নুনে
তোমার পথের দিকে চেয়ে থাকি ঘোর লাগা চোখে
ফিরিবে না জানি সে তো, জ্বেলে রাখি প্রত্যাশার বাতি
দৃষ্টির বিভ্রাট নয়, হিম কন্যা সায়াহ্ন আলোকে
আকাশ কুসুম ভেবে দিন কাটে দুর্যোগের রাতি
পীতবর্ণ চোখ দু’টি কেন আজ ফোলা ফোলা লাল
কিসের বিরহে আজো কেঁদে ওঠে বিষন্ন বিকাল
শিরোনামহীন
১.
রাতের বুকে চাঁদ উঠেছে
ফুল ফোটেছে বনে
আমি ফোটি তোমার জন্য
ভঙ্গ দিয়ে রণে
২.
পৃথিবীটা কাঁপছে কেমন
কাঁপে নদী হাওয়া
আমার জন্য কাঁপলে তুমি
এটাই পরম পাওয়া
৩.
এখন তো আর আগের মতো
উদাস হয়ে কেহ
বর্ষা বনে উদোম হয়ে
ভেজায় না তার দেহ।